বাংলাদেশ লাগোয়া জেলাগুলিতে সক্রিয় নিষিদ্ধ ফেনসিডিলের কারবারিরা, কাঁটাতারের ওপারে পাচারের নেপথ্যে রয়েছে বিপুল মুনাফা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ১৬ অক্টোবর :    নিষিদ্ধ কফ সিরাপ বা ফেনসিডিল পাচারের সেভ করিডোর কি পশ্চিমবঙ্গ? কারণ বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এরাজ্যের জেলাগুলি থেকে কাঁটাতারের ওপারে হামেশায় পাচার হয়ে যায় নিষিদ্ধ ফেনসিডিল। তবে পুলিশ ও বিএসএফের তৎপরতায় মাঝেমধ্যেই প্রচুর পরিমাণে ফেনসিডিল বা নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ উদ্ধার হলেও কেন পাচারের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে এরাজ্য তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কোথায়ই বা তৈরি হয় সেই নিষিদ্ধ কফ সিরাপ? সেসব প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা৷

রাতের অন্ধকারে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে এরাজ্যের বাংলাদেশ লাগোয়া জেলাগুলি থেকে প্রতিনিয়ত পাচার হয়ে থাকে নিষিদ্ধ কফ সিরাপ বা ফেনসিডিল। মাদক দ্রব্যের কারবারিরা রীতিমতো পুলিশ ও সীমান্তে কর্তব্যরত বি এস এফের চোখে ধুলো দিয়ে এই বেআইনি মাদক দ্রব্যের কারবার চালিয়ে আসছে। বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার বিএসএফের পাশাপাশি পুলিশ ফেনসিডিল উদ্ধার করলেও তা বন্ধ হওয়া বন্ধ করা যাচ্ছে না। মূলত এই রাজ্য থেকে থেকে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে হাত বদল হয়ে বাংলাদেশে পাচার হয়ে যায় নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ বা ফেনসিডিল। বি এস এফ সূত্রের খবর, বাংলাদেশে এই নিষিদ্ধ কফ সিরাপ বা ফেনসিডিলের চাহিদা ব্যাপক পরিমাণে রয়েছে। এমনকি এখানে যা দাম পাওয়া যায় একটি কফ সিরাপের, তার চেয়ে তিনগুণ দাম বেশি পাওয়া যায় বাংলাদেশে। ফলে পাচারকারীরা এই নিষিদ্ধ ফেনসিডিলের ব্যবসা পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে রমরমিয়ে চালিয়ে আসছে। কখনও দিনের বেলা আবার কখনও রাতের বেলা চলছে কাঁটাতারের বেড়া টপকে নিষিদ্ধ এই ফেনসিডিল পাচার। সূত্রের খবর, এরাজ্যে ১০০ মিলিলিটারের এক বোতল কফ সিরাপের দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা। অন্যদিকে এই সিরাপ যখন হাত বদল হয়ে বাংলাদেশে পাচার হয়ে যায় তখন তার দাম ওঠে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। স্বাভাবিকভাবেই বিপুল আর্থিক মুনাফার লোভে দুই দিনাজপুরের ও মালদা জেলার সীমান্ত গুলি দিয়ে মাঝেমধ্যেই ফেনসিডিল পাচার করা হয়ে থাকে।

পাশাপাশি বি এস এফ ও পুলিশের তৎপরতায় সেগুলো মাঝেমাঝে উদ্ধারও হয় কিন্তু তা সত্বেও রোখা পাচ্ছে না এই মাদক দ্রব্যের পাচারের ঘটনা। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা পুলিশ এবং বিএসএফের পাশাপাশি গোয়েন্দাদের আরও সতর্ক হতে হবে। সেই সঙ্গে চালাতে হবে নজরদারিও। তবেই এই মাদক দ্রব্যের কারবার ও পাচার বন্ধের ঘটনা কমে আসতে পারে।

Next Post

জানেন কি কেন পোস্টমর্টেম এর বাংলা অর্থ ময়নাতদন্ত

Fri Oct 16 , 2020
নিউজ ডেস্ক, ১৬ অক্টোবর :   অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে সেই মৃত্যুর কারণ জানতে পোস্টমর্টেম করা হয়ে থাকে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে চিকিৎসক বা পুলিশের ভরসা এই পোস্টমর্টেম রিপোর্ট। কারণ অপরাধের ক্ষেত্রে হত্যার তদন্ত করার কাজেও কাজে আসে এই পোস্টমর্টেম। যদিও চিকিৎসাবিজ্ঞানে সাধারণত একে বলা হয় ‘অটোপসি’। অর্থাৎ ময়নাতদন্ত বা পোস্টমর্টেম বা […]

আপনার পছন্দের সংবাদ