নিউজ ডেস্ক ,১১ইনভেম্বর :কলকাতা থেকে রায়গঞ্জ আসার পথে দুদফায় কলকাতার-রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে ভয়াবহ ছিনতাই , সর্বস্ব লুট করে চম্পট দুষ্কৃতকারীরা। ঘটনাটি ঘটেছে ফারাক্কা ও মালদা স্টেশন ঢোকার আগ মুহূর্তে। রায়গঞ্জ রেল স্টেশনের রেল পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে সাতটায় নির্দিষ্ট সময়েই কলকাতা স্টেশন থেকে রায়গঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি। শুক্রবার ভোরের দিকে নিউ ফারাক্কা স্টেশনে ট্রেনটি ঢোকার আগ মুহূর্তে একদল দুস্কৃতী ট্রেনের শেষদিকের জেনারেল কামরা থেকে যাত্রীদের ব্যাগপত্র ও টাকা পয়সা ছিনতাই করে। ছিনতাই হয়ে যায় যাত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ নথীপত্রও। এই ঘটনা ঘটার পর আবারও মালদা স্টেশনে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রবেশ করার আগে ধীর গতি হলেই অপর একটি জেনারেল কামরায় দুস্কৃতীরা উঠে যাত্রীদের ব্যাগপত্র, মোবাইল, টাকা পয়সা সহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনতাই করে চম্পট দেয়। জেনারেল কামরায় থাকা বরুন রায় নামে এক যাত্রী বলেন, মাকে নিয়ে কলকাতায় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। রিজার্ভেশন না পাওয়ায় মাকে নিয়ে তিনি জেনারেল কামরাতেই রায়গঞ্জে আসছিলেন। মালদায় ঢোকার আগে ট্রেনের গতি ধীরে হতেই একদল দুস্কৃতী কামরায় উঠে ব্যাগপত্র সহ সর্বস্ব ছিনতাই করে নিয়ে যায়। দুস্কৃতীরা ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। ট্রেনটিতে রেলওয়ে পুলিশের ফোর্স থাকলেও সারারাতে তাদের দেখা মেলেনি। রেলওয়ে পুলিশের নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন বরুন বাবু।মালদার আগে নিউ ফারাক্কা স্টেশনের আগে সীমন্ত টুডু সহ চারজনের সর্বস্ব লুট করে নেয় দুস্কৃতীরা। একই এক্সপ্রেস ট্রেনে একবার নিউ ফারাক্কা এবং একবার মালদায় দুদফায় যাত্রীদের সর্বস্ব ছিনতাইয়ের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উঠছে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন। ছিনতাই হওয়া যাত্রীরা সকালে রায়গঞ্জ স্টেশনে নেমে রেলওয়ে পুলিশ স্টেশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন