ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মানবাধিকার আন্দোলনের সক্রিয় মুখ বিশ্বজিৎ রায় (Journalist Biswajit Roy)। বৃহস্পতিবার ভোরবেলা কলকাতার নিজ বাসভবনে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগে ভুগছিলেন এই বর্ষীয়ান সাংবাদিক। বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
বিশ্বজিৎবাবু ছিলেন সাংবাদিক মহলে অত্যন্ত পরিচিত ও শ্রদ্ধেয় নাম। ঘনিষ্ঠ মহলে ‘মধু’ নামে পরিচিত এই লেখক ও সাংবাদিক পেশাজীবনের শুরুতে পরিবর্তন ম্যাগাজিনে যুক্ত ছিলেন। পরে দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি আনন্দবাজার পত্রিকা (Anandabazar Patrika), দ্য টেলিগ্রাফ (The Telegraph) এবং টাইমস অফ ইন্ডিয়া (The Times of India)-র মতো প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। পশ্চিমবঙ্গের গণ্ডি ছাড়িয়ে দিল্লি ও দেশের অন্যান্য রাজ্যেও সাংবাদিকতার কাজ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ পথকুকুর রক্ষার প্রতিবাদে তাঁতশিল্পীকে পিটিয়ে খুন, ধৃত দুই প্রতিবেশী
সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিশ্বজিৎ রায় নিবেদিত ছিলেন মানবাধিকার ও শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গেও। তাঁর তরুণ বয়সের রাজনৈতিক চেতনা গড়ে উঠেছিল নকশাল আন্দোলনের প্রভাবেই। সেই আদর্শ থেকেই পরে তিনি যুক্ত হন বিভিন্ন সামাজিক লড়াইয়ে। নানা সময়ে মতাদর্শগত কারণে কর্মস্থলে বিরোধে জড়িয়েছেন, কিন্তু আপস করেননি নিজস্ব আদর্শের সঙ্গে। সাংবাদিকতার মূল্যবোধ ও নৈতিকতা রক্ষার প্রশ্নে ছিলেন অবিচল।
ব্যক্তিগত জীবনে বছরখানেক আগে স্ত্রী, বিশিষ্ট সাংবাদিক দেবযানী রায় প্রয়াত হন। তাঁদের রয়েছে দুই পুত্রসন্তান।
বিশ্বজিৎ রায়ের প্রয়াণে সংবাদজগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সহকর্মী ও বন্ধুদের কাছে তিনি ছিলেন অনুপ্রেরণা ও আদর্শের প্রতীক। সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধের পথে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে দীর্ঘদিন।