নিজস্ব সংবাদদাতা , চাঁচল , ১৫ জানুয়ারী : মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে ১লা মাঘ শুক্রবার চাঁচলের বিভিন্ন গ্রামে আয়োজিত হল প্রাচীন স্নান মেলা। প্রায় ১৫দিন ধরে মহানন্দা নদীর তীরে বসে এই মেলা। নদীতে পূণ্যস্নান সেরে পুজো দেন পূণ্যার্থীরা। এরপরে মুড়ি আর আলুর দম খায় তারা।
শীতের সকালে মহানন্দা নদীর হাড় হিম করা ঠান্ডা জলে স্নান করার পরে খাওয়া হয় মুড়ি আর চোখা আলুর দম। বহুকাল ধরে চলে আসা এই প্রথা আজও প্রচলিত রয়েছে এই মেলায়। পূর্বে মাঘ মাসের প্রথমে পূণ্যস্নান সেরে গৃ্হস্থ বাড়িতে রাখালদের কাজে বহাল করা হত। তাদের হাতে দেওয়া হয় মুড়ি আর আলুর দম। সেই প্রথা এখন না থাকলেও স্নান সেরে মুড়ি আর আলুর দম খাওয়ার প্রচলন আজও বর্তমান এই মেলায়।চাঁচল মহকুমার মাগুরা, গোহিলা আশাপুর তিনটি এলাকায় আয়োজিত হয় এই মেলা। গোপাল পাল নামে এক পূণ্যার্থী জানিয়েছেন, এদিন স্নান সেরে বাড়ির সকলে মিলে মুড়ি আর আলুর দম খাওয়া হয়েছে। এরপর মেলা ঘুরে জিনিসপত্র কিনে বাড়ি যাওয়া হবে। প্রতিবছরই এই মেলায় আসা হয়।অন্যদিকে এই মেলা প্রাঙ্গণ গুলিতে শতাধিকেরও বেশি দোকান বসতে দেখা যায় শুধু মুড়ি এবং আলুর দম নিয়ে। ১০ থেকে কুড়ি টাকা খরচ করলেই পাওয়া যায় ঠোঙ্গা ভর্তি মুড়ি আর আলুর দম। তবে এবার করোনা আবহের জন্য মুড়ি এবং আলুর দমের বিক্রেতারা একটু হতাশ। ছবি দাস নামে এক বিক্রেতা জানিয়েছেন, করোনার জন্য অধিকাংশ মানুষই মেলা প্রাঙ্গণের খাবার এড়িয়ে চলছেন। যার ফলে সকাল থেকে পসরা সাজিয়ে বসে থাকলেও দেখা মিলছে না ক্রেতাদের।ফলে সেভাবে বেচাকেনা হচ্ছে না বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।