নিউজ ডেস্ক , ২০ জানুয়ারী : দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়েছিল গ্রামের রাস্তা। গ্রামবাসীদের দাবি মেনে মেখলিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি ওই বেহাল রাস্তা নতুন করে নির্মানের জন্য টাকা বরাদ্দ করে।
বাঘডকরা-ফুলকাডাবরি গ্রামপঞ্চায়েতের ফুককাডাবরি গ্রামে নতুন রাস্তা নির্মানের কাজ শুরু করে কাজের বরাত পাওয়া সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি সংস্থা। কিন্তু ওই গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধানের স্বামী প্রদীপ বর্মন এবং তার অনুগামীরা নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে কাটমানি ও তোলা আদায়ের জন্য ঠিকাদার কর্মীদের রীতিমতো হুমকি দেওয়া শুরু করে। এমনই অভিযোগ তোলেন এলাকার মেখলিগঞ্জ পঞ্চায়েতে সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ ভবানী রায় চৌধুরি সহ গ্রামের বাসিন্দারা। এই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভে শামিল হন।
প্রসঙ্গত এই গ্রামটি জনবহুল এলাকা। গ্রামের একমাত্র বেহাল রাস্তাটি পাকা রাস্তায় উন্নীত হয়ে নির্মাণ কাজের শুরু হয় । এই গ্রামের পুলেরপার থেকে বক্সিরটারি পর্যন্ত রাস্তার কাজের সূচনা হয়। কিন্তু, সেই বহু প্রতীক্ষিত নব নির্মিয়মান পাকা রাস্তা যে কাটমানি ও স্থানীয় নেতাদের তোলা আদায়ের চাপে বেহাল হয়েই পরে থাকবে এমনই পরিস্থিতি এসে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে,রাস্তার কাজের বিষয়ে এলাকার মেখলিগঞ্জ পঞ্চায়েতের সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ ভবানী রায়চৌধুরি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনেক কষ্টে রাস্তাটি নির্মানের জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদরের কাছে টাকা দাবি করা হচ্ছে। মদ খেয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধানের স্বামী ঠিকাদারকে হুমকি দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে কাজ করা সম্ভব নয় বলে কাজ বন্ধ করে এলাকা ছেড়ে চলে যান ঠিকাদার সংস্থার শ্রমিক ও কর্মীরা। এই রাস্তার কাজে দায়িত্ব থাকা এক ঠিকাদারের কর্মী দিলীপ কুমার রায় জানান “কাজ শুরু পর তাদের কাছে স্থানীয় কিছু লোক টাকা দাবি করছে, পাকা রাস্তার কাজ করতে তাদের সমস্যা হচ্ছে। এই অবস্থায় পাকা রাস্তার কাজ বন্ধ রেখে আমরা চলে এসেছি। অন্যদিকে এই অভিযোগ প্রসঙ্গে স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধানের স্বামী প্রদীপ বর্মন বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। রাস্তার কাজ খুবই নিম্নমানের হচ্ছে। আমি চাই গ্রামের রাস্তা ভালো মানের সামগ্রী দিয়ে নির্মান হোক।