
নিউজ ডেস্ক, ৫ জানুয়ারি ২০২৩ : মেখলিগঞ্জের রাণীরহাট সুপারমার্কেটে জ্বলছে না হাইমাস বাতিস্তম্ভের আলো , অন্ধকারে বাড়ছে অসামাজিক কাজকর্ম। অতিষ্ঠ বাসিন্দারা আলোর দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকায়। অবিলম্বে বাতি মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান।
কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের রাণীরহাট বাজার চত্বরে গত ২ বছর ধরে বেহাল অবস্থা হাইমাস লাইট পোস্টের। উচ্চ বাতিস্তম্ভ চালু হওয়ায় পরে দিন কয়েক আলো জ্বলেছে। কিন্তু তার পরে আর জ্বলেনি উচ্চ বাতিস্তম্ভের আলো। পর্যাপ্ত পরিকাঠামো থাকা সত্বেও দিনের পর দিন ধরে অচল অবস্থায় তাল গাছের মতো দাঁড়িয়ে আছে দুই প্রান্তে থাকা ২ টি হাইমাস লাইট পোস্ট। কিন্তু আলো নেই।
এলাকার নাগরিক মঞ্চের দাবি বহুবার অনেক ভাবে স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধানকে বিষয়টি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ব্লক প্রশাসনও উদাসীন। রাতের অন্ধকারের ছায়া নেমে আসে গোটা বাজার জুড়ে । সন্ধ্যা নামতেই এলাকায় বেড়ে চলেছে অসামাজিক কার্যকলাপ। ব্যাবসায়ীদের একাংশ দাবি তুলেছেন ২ বছর ধরে বন্ধ এই হাইমাস লাইট৷ দ্রুত আলোর ব্যবস্থা করা হোক বাজারে। আর তা না হলে সেগুলো সরিয়ে দেওয়া হোক। এই বিষয়ে বিশ্বভারতীর গবেষক উদয় দাস জানিয়েছেন, আলো না থাকায় এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম বেড়েই চলেছে। প্রশাসনের এই বিষয়টি দেখা উচিত।
জলপাইগুড়ির প্র্যাক্তন সাংসদ বিজয় চন্দ্র বর্মন জানিয়েছেন, ” আমরা ২ টি হাইমাস বাতিস্তম্ভের আবেদন করেছিলাম। আবেদনের ভিত্তিতে এলাকায় সুপার মার্কেটের দুই প্রান্তে দুটি হাইমাস বাতিস্তম্ভের ব্যাবস্থা করা হলেও এখন আর সেগুলো জ্বলেনা। এখন যদিও এটা গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানের উপর নির্ভর করে।
স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান ফুলেশ্বর রায় জানিয়েছেন, আমরা লাইটের বিল আমদের ফান্ড থেকে ৫৪৫৬৪ টাকা দিয়ে দিয়েছি। লাইটগুলি কেটে যাওয়ার কারণে সেগুলো বন্ধ হয়ে আছে। আমরা খুব শীঘ্রই উচ্চ বাতিস্তম্ভগুলির লাইট মেরামত করে এলাকা পুনরায় আলোকিত করে তুলব।
