নিউজ ডেস্ক , ১৯ ডিসেম্বর : বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল নিরন্তর পরিবেশগত পরিবর্তনশীলতা। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে সমানুপাতিক হারে। ভারতের ক্ষেত্রে এই সমস্যা অত্যন্ত প্রকট। কারণ ভারতবর্ষ পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ। স্বাভাবিকভাবেই এদেশের পরিবেশ এবং অর্থনীতিও অত্যন্ত জটিল। এই ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক চিন্তাভাবনা ধারণা প্রদান করেছেন দিল্লিনিবাসী ইঞ্জিনিয়ার বিদ্যুৎ মোহন। তার এই বৈপ্লবিক চিন্তাধারার ফসল ‘টাকাচার’ প্রতিষ্ঠান।
এরই স্বীকৃতিস্বরুপ ২০২০ সালের ‘ইয়ং চ্যাম্পিয়ন্স অফ আর্থ’ পুরস্কার পেতে চলেছেন বিদ্যুৎ।উল্লেখ্য ২০১৮ সালে টাকাচার নামের এই প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন তিনি। কৃষকদের থেকে তাঁদের ফসলের ফেলে দেওয়া অংশ কিনে নিয়ে তা থেকে জ্বালানি, সার বা অ্যাক্টিভ কার্বনের মতো মূল্যবান রাসায়নিক তৈরি করা হয় এখানে। পাশাপাশি খড়, ধানের শিষ বা নারকেলের ছোবড়া মত যেসব জিনিসগুলো ফেলে দেওয়া হয় সেগুলো থেকেও জ্বালানী তৈরি করা হয়। যা একপ্রকারের বিকল্প আয়ের উৎস। প্রতি বছরই সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্টের জন্য সারা পৃথিবী থেকে ৭ জন প্রাপকের হাতে ‘ইয়ং চ্যাম্পিয়ন্স অফ আর্থ’ পুরস্কার তুলে দেয় জাতিপুঞ্জের পরিবেশ সংস্থা। এই বৈপ্লবিক ধারণা প্রদানের জন্য জাতিপুঞ্জের পুরস্কার প্রাপকের তালিকাভুক্ত হয়েছে ২৯ বছর বয়সী ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার বিদ্যুৎ মোহনের নাম। বর্তমানে পরিবেশ যেভাবে সঙ্কটে রয়েছে আগামীতে কোন সংস্থাই তাকে উপেক্ষা করতে পারবে না। পরিবেশ রক্ষায় তার উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছে জাতিপুঞ্জ।আগামী প্রজন্মকে এক সুন্দর বিশ্ব প্রদানে তার এই প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে কৃতিত্বের দাবীদার।