ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রেম, প্রতারণা ও যৌন হেনস্থার অভিযোগে উত্তাল চাকুলিয়ার ছোট সিরসী গ্রাম। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক তরুণীকে বারবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত করে, শেষে তাকে অস্বীকার করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। চরম অসহায় অবস্থায় ওই অন্তঃসত্ত্বা তরুণী এবার সরাসরি প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসেছেন। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাকুলিয়ার পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক যুবতীর সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয় ছোট সিরসীর বাসিন্দা আইমান আলমের। সেই পরিচয় ক্রমশ ঘনিষ্ঠতায় রূপ নেয়। অভিযোগ, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে একসময় জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে ওই যুবক। পরবর্তীকালে গর্ভবতী হয়ে পড়লে, যুবক ও তার দুই সঙ্গী মিলে তাকে গোপনে গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সেই সময়ও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্পর্ক চালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক।
আরও পড়ুনঃ অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সঙ্গে কোটি টাকার প্রতারণা, কলকাতায় ধৃত তিন
অভিযোগ, ৮ এপ্রিল ফের বিয়ের দাবি জানিয়ে যুবকের বাড়িতে গেলে ওই তরুণীকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় যুবকের পরিবার। শারীরিকভাবে গুরুতর আহত অবস্থায় কিশনগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, তিনি প্রায় চার মাসের গর্ভবতী। এরপর ১৬ এপ্রিল চাকুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি, যদিও পুলিশের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
এমন পরিস্থিতিতে ২১ এপ্রিল ইসলামপুর জেলা পুলিশ সুপারের দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। কোনও সুরাহা না হওয়ায় অবশেষে যুবকের বাড়ির সামনে বিয়ের দাবিতে ধর্ণায় বসেন তিনি। ফের তাকে হেনস্থা করে জোর করে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তরুণীর । ঘটনার সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ এগিয়ে এলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
যুবকের পরিবার অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, যুবকের সঙ্গে কোনও প্রেমের সম্পর্ক ছিল না ওই তরুণীর। পাশাপাশি তারা ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সন্তানের পিতৃত্ব নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছে যুবকের পরিবার।
ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় উপস্থিত হন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধি। তিনি বলেন, “এই ধরনের ঘটনায় সমাজে অপ্রীতিকর বার্তা যায়। আমরা চাই অভিযোগটি নিরপেক্ষ তদন্ত হোক এবং সামাজিকভাবেও উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”