নিউজ ডেস্ক : আলু নিয়ে বিপাকে রায়গঞ্জ ব্লকের চাষীরা। সাধারনতঃ আলুর উৎপাদনের নিরিখে প্রতিবছরই উত্তর দিনাজপুর জেলা উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে থাকে। এবছরেও জমিতে ফলন দেখে শুরুতে বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন চাষীরা। কিন্তু বিপনন কালে মুখের হাসি ম্লান হয়ে আসে। জেলায় বিপুল পরিমান আলুর ফলন হওয়ায় বাজারে আলুর দাম একেবারেই নেমে যাওয়ায় দুশ্চিন্তার কালো মেঘ তৈরী হয়েছে।
আরও পড়ুন – টাকার বিনিময়ে জমির রেকর্ড পরিবর্তনের অভিযোগ ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের বিরুদ্ধে
জেলা কৃষি দফতর সূত্রের খবর, এবছরে উত্তর দিনাজপুরে ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। উৎপাদিত ফলনের পরিমান ৮ লক্ষ মেট্রিক টন। তবে আলুর ফলন ভালো হলেও আশঙ্কা তৈরী হয়েছে জেলায় হিমঘরের ধারনক্ষমতা ঘিরে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি একই ছবি রায়গঞ্জ ব্লকেও। রায়গঞ্জের পানিশালায় হিমঘরে আলুর মজুতকরনের জন্য ভিড় করছেন চাষীরা। দিন দিন আলুর গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে।চাষীদের বক্তব্য, কিছু পরিমান আলু হিমঘরে রাখা গেলেও বাকী অধিক পরিমান ফলন এখনও বাইরে। বর্তমানে হাটে বাজারে খুচরো আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫ টাকা। পাইকারি ৩-৪ টাকা। যেখানে ১ বিঘা ফলন করতে খরচ হয় প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকা। সেখানে এই দামে আসল খরচই উঠবে না বলে দাবী চাষীদের। যদিও হিমঘরে আলু মজুতকরনে সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে বলে জানান হিমঘরের মালিক দিলীপ সাহা।