নিজস্ব সংবাদদাতা , দক্ষিণ দিনাজপুরে, ১৩ জানুয়ারী : বাবাকে হারিয়েছে কিছুদিন আগেই। মহারাষ্ট্রে কাজে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে মায়েরও। ফলে পিতৃ-মাতৃহীন ওই শিশু এখন আটকে পড়েছে পুনেতে। কিভাবে নাতিকে ফিরে পাবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না ওই শিশুর দিদা দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের বাসিন্দা বৃদ্ধা চুরকি মুর্মু ৷ এব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কাছে কাতর আবেদন নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হন ওই বৃদ্ধা।
ভিন রাজ্যে আটকে পড়া পিতৃমাতৃহীন আট বছরের নাতিকে ফিরে পেতে সংবাদমাধ্যমের দ্বারস্থ দিদিমা। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার দাঁড়াল হাট এর বাসিন্দা বৃদ্ধা চুরকি মুর্মুর কাতর আবেদন, প্রশাসন বা পুলিশ যাতে সদ্য মা হারা নাতির ভবিষ্যৎ সুরক্ষার কথা ভেবে তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে। দালালের খপ্পরে পড়ে ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে প্রাণ হারানো এক স্বামীহারা মেয়ের মা চুড়কি মুর্মু জানান, তার মেয়ে মালতী সোরেনের কয়েকবছর আগে বিয়ে হয় বালুরঘাটের বিজয়শ্রী গ্রামের মঙ্গল মুর্মুর সাথে। বিয়ের কিছু দিন পর তাদের একটি শিশু সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু এরপর তার মেয়ের কপালে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। হঠাৎ করে তার স্বামী মারা যায়। এরপরেই ছেলেকে নিয়ে সংসার চালানোর এসে পড়ে তার কাঁধে। তাই কাজের জন্য কিছুদিন আগে এলাকার এক দালালের মধ্যমে তার স্বামীহারা মেয়ে মিনতি সোরেন ভিন রাজ্য মহারাষ্ট্রের পুনেতে কাজ করতে যায়। সঙ্গে নিয়ে যায় তার আট বছরের ছেলে রাহুলকেও। কিন্তু দিন কয়েক আগ খবর আসে আমার মেয়ে মিনতির হঠাৎ করে নাকি কল পাম্প করতে গিয়ে কাশতে কাশতে মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আমার আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায়, তার দেহ দেখতে বা নিয়ে আসা সম্ভবপর হয়নি। পুনেতে থাকা ওরাও কেউ মেয়ের দেহ পাঠায় নি। ফলে তার আট বছরের নাতি সেখানে আটকে রয়েছে।
মেয়েকে কাজে নিয়ে যাওয়া ঠিকাদারকে অবিলম্বে উপযুক্ত ক্ষতিপুরণ দেবার জন্য্য প্রশাসন চাপ দিক। পাশাপাশি তার নাতিকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুক তারা। মালতীর সোরেনের কিভাবে ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হলো তা তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। শিশুটির ভবিষ্যতের কথা ভেবে উপযুক্ত ক্ষতিপুরণ দিতে হবে ওই ঠিকাদারকে।