নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ২৯ এপ্রিল : করোনা সংক্রমণ নিয়ে নির্বাচনের দ্বায়িত্ব পালনে বুথে উপস্থিত হলেন এক আশাকর্মী। বৃ্হস্পতিবার ঘটনায় চাঞ্চল্য মালদহ বিধানসভার ১৭০ নম্বর বুথে।প্রায় ৫ ঘণ্টা বুথে কাটানোর পর টনক নড়ে কমিশনের।এরপরে কমিশনের হস্তক্ষেপে শেষে বাড়ি পাঠানো হল কর্তব্যরত করোনা আক্রান্ত এক আশাকর্মীকে।
জানা গিয়েছে, সকালে একপ্রকার বাধ্য হয়েই করোনা সংক্রমণ নিয়ে মালদহ বিধানসভার ১৭০ নম্বর বুথে ডিউটি করতে যান ওই আশাকর্মী। বিষয়টি তিনি অবজার্ভারদের জানাতে শোরগোল পড়ে যায় এলাকাজুড়ে। জানানো হয় কমিশনকে। দীর্ঘক্ষণ পরে তাঁর পরিবর্তে পম্পা সাহা নামে অন্য এক আশাকর্মীকে ওই বুথে নিয়োগ করে কমিশন। কিন্ত তিনিও বুথে উপস্থিত হন অনেক দেরীতে। এই বিষয়েকরোনা আক্রান্ত ওই আশাকর্মীর দাবি, করোনা সংক্রমণের রিপোর্ট নিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, বিডিও—সকলের কাছে দরবার করলেও তাকে শোকজ চিঠি ধরানো হয় বলে অভিযোগ। ফলে বাধ্য হয়েই অসুস্থ শরীরে নিয়ম বিধির তোয়াক্কা না করে ভোটকেন্দ্রে কর্তব্যরত ছিলেন তিনি। তিনি জানান, গত ২৪শে এপ্রিল পরীক্ষা করান।২৬শে এপ্রিল বিকেলে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে তার মোবাইলে। সেদিন তিনি নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণে ছিলেন। এরপরেই এই বিষয়ে তিনি স্বাস্থ্য দফতর ও ব্লক প্রশাসনকে জানান। কিন্তু তাকে আশ্বাস দেওয়া হয় ডিউটি না দেওয়ার। তা সত্ত্বেও ইলেকশন ডিউটি সংক্রান্ত চিঠি এলে তিনি নির্বাচনী আধিকারিকের দ্বারস্থ হন। কিন্তু তার কথায় কর্ণপাত না করে শোকজ লেটার হয়। বাধ্য হয়েই এদিন ডিউটিতে আসেন তিনি।যদিও বিষয়টি জেনে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ পরে নির্বাচন কমিশন উদ্যোগী হয়ে তাকে দ্বায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে মালদা জেলাজুড়ে।