নিউজ ডেস্ক , ০৪ ডিসেম্বর : দেশের নাগরিকদের ভয় ভীতি দূর করতে করোনা প্রতিষেধক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন আমেরিকার প্রাক্তন তিন রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটন, জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং বারাক ওবামা। তিন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি একসঙ্গে করোনা প্রতিষেধক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এতে সাড়া দিতে শুরু করেছেন সাধারণ নাগরিকেরাও।
প্রায় এক বছর হয়ে গেলেও এখনও করোনার দাপট তীব্র সমানতালে রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশে। নিত্যদিন দাপট দেখিয়ে চলছে মারণ করোনা ভাইরাস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন, শারীরিক দূরত্ব সহ একাধিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেও কোনো কাজেই আসছে না। কিভাবে করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করা যায় তা নিয়ে নানা উপায় নিয়মিতভাবে বাতলে চলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তারাও। কিন্তু প্রতিষেধক বের না হওয়া পর্যন্ত এই করোনা অতিমারিকে যে ঠেকানো সম্ভব নয় তা বুঝতে পেরেছেন বৈজ্ঞানিকরাও। বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশগুলি করোনা প্রতিষেধক তৈরি করতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই রাশিয়া স্পুটনিক নামক প্রতিষেধক বের করলেও তা কার্যকারীতা কতটুকু তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। অন্যদিকে ব্রিটেনও ফাইজার নামক প্রতিষেধকের সরকারিভাবে অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। শীঘ্রই এই করোনা প্রতিষেধক সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে। করোনার প্রতিষেধক নেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র আমেরিকার নাগরিকদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে ভীতির আশঙ্কা। ভ্যাকসিন নিলে শরীরে গুরুতর সমস্যা দেখা যেতে পারে এই আশঙ্কায় অনেকেই স্পষ্টভাবে ভ্যাকসিন না নেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকদের মধ্যে তৈরি হওয়া ভয় ভীতি দূর করতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটন, জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং বারাক ওবামা এই তিনজন করোনা প্রতিষেধক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷করোনা প্রতিষেধক নেওয়ার সময় টিভিতে তা সরাসরি দেখানো হবে বলে জানা গেছে৷ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটনের প্রবক্তা জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে গিয়ে ক্লিনটন সাহেব করোনা প্রতিষেধক নেবেন। অন্যদিকে আরেক প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ বুশের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রতিষেধক নেওয়ার ক্ষেত্রে নানা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেই আশঙ্কা দূর করতেই ক্যামেরার সামনে তিনি করোনা প্রতিষেধক নেবেন। বারাক ওবামা জানিয়েছেন,’ডাইরেক্টর অ্যান্থনী ফ্যাসীর ওপর আমার ভরসা রয়েছে৷ করোনা প্রতিষেধক সম্পূর্ণ সুরক্ষিত ও নিরাপদ বলে তিনি আমাকে জানিয়েছেন। তাই সরাসরি ক্যামেরার সামনে বসে প্রতিষেধক নিতে আমার কোনো আপত্তি নেই।