নিউজ ডেস্ক, ২৮ অক্টোবর : ফের রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে.পি নাড্ডা। আগামী ৬ নভেম্বর ২ দিনের জন্য এরাজ্যে সফরে আসছেন তিনি। জানা গেছে ওইদিন ৬ নভেম্বর বর্ধমানে বৈঠক করবেন তিনি।
লক্ষ্য রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা ভোট। আর তাই পুজোকে হাতিয়ার করে জনসংযোগের পাশাপাশি দলের সাংগঠনিক শক্তি যাচাই করতে গত ১৯ অক্টোবর উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে. পি নাড্ডা। এবার পুজোর পর আরও একবার বাংলার দিকে নজর গেরুয়া শিবিরের৷ বিজেপি সূত্রে আগামী ৬ নভেম্বর ২ দিনের জন্য এরাজ্যে সফরে আসছেন তিনি৷ উল্লেখ্য ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে সবক’টা আসনে হারের মুখ দেখতে হয়েছে শাসক দল তৃণমূলকে। হেভিওয়েট প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপেক্ষের সুরে বলেছিলেন উত্তরবঙ্গের জন্য এত কাজ করি, তা সত্ত্বেও ফল পাই না। স্বাভাবিকভাবেই গেরুয়া শিবির তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যকে কাজে লাগাতে চাইছে নির্বাচনে। তবে দেশের তথা রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি রাজনৈতিক চিত্র খানিকটা হলেও বদলে দিয়েছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের হাতে কাজ নেই। টাকা নেই। চাকরি হারিয়ে বহু মানুষ। বিশেষ করে প্রবাসী শ্রমিকেরা। এমনকি কেন্দ্রে বিজেপি সরকার একমাত্র জনধন যোজনায় মহিলাদের একাউন্টে ৫০০ টাকা ছাড়া আর কোনো সুযোগ সুবিধা দেয় নি দেশবাসীকে। এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই করোনা আবহের মধ্যে একের পর এক আর্থিক অনুদানের সুবিধা দিয়েছেন ভাতার মাধ্যমে। চালু করেছেন জয় বাংলা প্রকল্প। হকারদের জন্যও পুজোতে এককালীন দু’হাজার টাকা ভাতাও দিয়েছে রাজ্য সরকার। খাদ্য সাথীর আওতায় বিনামূল্যে রেশনে খাদ্য সামগ্রী পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও দিন কয়েক আগে চালু করা পুরোহিত ভাতা তো রয়েছেই। সবমিলিয়ে রাজনৈতিক মহলের মতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের থেকে এক্ষেত্রে রাজ্যে কয়েকধাপ এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল সরকার। পাশাপাশি আগামীদিনে জাতীয় রাজনীতি কোনপথে চলবে তা হয়ত ঠিক করে দেবে হিন্দিবলয় বলে পরিচিত বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল৷ আর তার আগেই এরাজ্যে এসে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতে ও দলীয় নেতা কর্মীদের এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়ার নির্দেশ দিতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। কর্মসূচি অনুযায়ী বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, আসানসোল, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে জেপি নাড্ডার। পাশাপাশি ৭ নভেম্বর জঙ্গলমহল এলাকার নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন নাড্ডা। তবে সম্প্রতি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং এন ডি এ-র সঙ্গ ত্যাগ করার বিষয় ও পাহাড় রাজনীতি নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবিষয়ে নিশ্চুপ থাকায় প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও নাড্ডার এই সফরকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না শাসক দল তৃণমূল৷ তাদের বক্তব্য মোদি ম্যাজিক এখন আর নেই৷ অনেক আগে সেই ম্যাজিক নিয়ে মানুষের মোহভঙ্গ ঘটেছে৷ তাই কে এল, কে গেল তা নিতে রাজ্যের মানুষ মাথা ঘামাচ্ছে না।