নিউজ ডেস্ক , ২৯ ন্নভেম্বর : চার মেয়েকে গলা কেটে খুন করার অভিযোগ উঠল খোদ মায়ের বিরুদ্ধে। রোমহষর্ক চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার
গুরগ্রামের নুহ পিপরোলি গ্রামে। ঘরের মধ্যে থেকে চার বোনের গলাকাটা দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান প্রত্যেকটি খুন একই কায়দায় করা হয়েছে এবং তাদের মাকেই প্রাথমিকভাবে মুল অভিযুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। অভিযুক্তের চিকিৎসা চলছে স্থানীয় হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, চার বোনকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ওই মহিলার নাম ফারমিনা। তার স্বামী খুরশিদ। ২০১২ সালে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তাদের ঘরে ৪ মেয়ে মুসকান, আলসিফা, মিসকিনা ও আট মাসের মেয়ে সন্তান জন্ম হয়। পাড়া প্রতিবেশীরা বলেন, পরিবারটি খুবই সাধারণ ও নির্ঝঞ্ঝাট জীবনযাপন করত। কখনো তেমন সমস্যার কথা শোনা যায়নি। নিজের সন্তানদের এভাবে খুন করায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক গ্রাস করেছে। ফারমিন নিজেও আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। পরে এলাকবাসী তাকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন রাত ৩টা থেকে ফারমিনার ঘরের দরজা বন্ধ পান খুরশিদ। বেশ কয়েকবার দরজা ধাক্কা দিলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপর ভেন্টিলেটর দিয়ে উঁকি দিয়ে খুরশিদ দেখতে পান নিজের গলা কাটার চেষ্টা করছে ফারমিনা। তখনই সে চিৎকার করে এবং প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যায়। এরপরে তারাই দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। দেখা যায় চার বোন গলা কাটা অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে রয়েছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা ঘর।