নিউজ ডেস্ক , ২১ নভেম্বর : দুজনেই আইএএস। পাশাপাশি নিজের কর্মক্ষেত্রে দুজনেই অত্যন্ত সফল। স্বাভাবিকভাবেই তাদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসতেই বহুল চর্চা শুরু হয়ে যায় গোটা দেশ জুড়ে। ২০১৫ সালের ব্যাচের এই দুই আইএএস দুর্দান্ত ফল করেছিলেন পরীক্ষায়। ইউপিএসসি পরীক্ষায় গোটা দেশের মধ্যে টিনা দাবি প্রথম হয় এবং দ্বিতীয় হয় আতাহার খান।
শুধু এটা নয় তাদের সম্পর্ক নিয়ে বহুল চর্চার অন্যতম কারণ তাদের জাতিগত পরিচয়। দিল্লী নিবাসী টিনা ছিলেন দলিত এবং আতাহার খান ছিলেন কাশ্মীরের ইসলাম ধর্মাবলম্বী পরিবারের সন্তান। ফলে সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসতেই আলোচনার শুরু হয়ে যায় দেশজুড়ে। নয়াদিল্লীতে ডিওপির ট্রেনিংয়ে গিয়ে প্রথম দেখা তাদের। সেখান থেকেই শুরু তাদের সম্পর্ক। এরপরে ২০১৮ সালে বিয়ে হয় তাদের। এতে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনন্দনের পাশাপাশি ভেসে আসে তীর্যক মন্তব্যও। অনেকে লাভ জিহাদ বলেও আখ্যায়িত করে। যদিও ভালোই চলছিল তাদের সম্পর্ক। রাজস্থানের ভিলওয়াড়াতে পোস্টিং হয় তাদের। করোনা মোকাবিলায় সারা দেশকে পথ দেখিয়েছিল তাদের উদ্বুদ্ধ ‘ভিলওয়াড়া মডেল’। কিন্তু মাত্র দুবছরের মধ্যে তাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার কথা প্রকাশ্যে আসতেই হতচকিত সারা দেশ। ভাঙ্গতে চলেছে বহুলচর্চিত এই আইএএস দম্পতির বিয়ে। সম্প্রতি রাজস্থানের জয়পুরে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে আবেদন করেছে তারা। কিন্তু কি কারণে এই সিদ্ধান্ত তা নিয়ে দুজনের কেউই কিছু জনসমক্ষে আনেন নি।