নিউজ ডেস্ক , ২২ মে : নারদা কান্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর অসুস্থবোধ করা এসএসকেএম এ ভর্তি করানো হয় কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর ভোকাল কর্ডে টিউমার ধরা পড়েছে।
এমনটাই জানালেন চিকিৎসকরা। এই টিউমারটি কতটা মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে মদন মিত্রের জন্য, তা জানতে আরও বেশকিছু পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে, জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কদিন থেকেই কথা বলতে অসুবিধে হচ্ছিল মদন মিত্রর। সেকারণে তাঁর একাধিক পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষার পর দেখা যায়, মদন মিত্রের ভোকাল কর্ডে একটি টিউমার রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে এও জানা গিয়েছে, কথা বলার পাশাপাশি আরও কিছু শারীরিক অসুবিধা রয়েছে বিধায়কের। প্রসঙ্গত, ভোট চলাকালীন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। এরপর করোনা থেকে সেরে উঠলেও কোভিডের ক্ষত ধরা পড়ে তাঁর ফুসফুসে। এদিকে হাইকোর্টে নারদকাণ্ডে শেষমেষ দীর্ঘ টানাটানির পর জেল হেফাজত থেকে মুক্তি পান মদন মিত্র শোভন চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম। তবে মুক্তি পেলেও থাকতে হবে গৃহবন্দি। এই অবস্থায় ফিরহাদ হাকিম সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে এসএসকেম থেকে ছুটি পাননি মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের লিভার সিরোসিস ধরা পড়েছে। আর এবার টিউমার ধরা পড়ল মদন মিত্রের ভোকাল কর্ডে। মদন মিত্রকে কয়েকটি এক্সেসাইজ করার নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। চলবে স্পিচ থেরাপিও। বিষয়টি ভয়ানক না হলেও এখনই সারিয়ে নেওয়া উচিত বলে মত চিকিৎসকদের। তাঁদের অনুমান, ভোটের প্রচারে গলার উপর অত্যাধিক চাপ পড়ার কারণেই এমনটা হয়েছে।