নিউজ ডেস্ক , ০৫ এপ্রিল : নির্বাচনের জনসভা থেকে একে অপরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করছে শাসক বিরোধী সকলে। কেও কাওকে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে নারাজ।
রাত পোহালেই তৃতীয় দফার নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের আগেও ভাঙা পা এবং হুইল চেয়ারে বসে একের পর এক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর প্রচার কর্মসূচি রয়েছে দুই জেলায়। হুগলির চুঁচুড়া, চণ্ডীতলা ও উত্তরপাড়া বিধানসভার কোন্নগর ছাড়াও সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে জনসভা করবেন তৃণমূল নেত্রী। চুঁচুড়ার জনসভা থেকে এদিন বিজেপি প্রার্থী লকেট চ্যাটার্জিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি।হুগলিতে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সারদা-রোজভ্যালি যোগের অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চুঁচুড়ার বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “BJP-র লোক নেই, তাই সাংসদকে প্রার্থী করেছে। এরপর পুরভোট, পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়াবে। আমি তো ওদের কীর্তি কলাপ সব জানি। আমাদের দলকে সারদা-নারদা বলে। আর সারদা-নারদার সবচেয়ে কোলের বাচ্চা হচ্ছে ওরা…লকেট তো রোজভ্যালিদের গলার লকেট। সব জানি। ওদের বিরুদ্ধে কিছু হয় না। ও তো জিতবে না। টাকার, জন্য, দলের জন্য দাঁড়িয়েছে।”
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিজেপি নেত্রী লকেট। তিনি বলেন, “আগে উনি দুর্নীতি প্রমাণ করুন। ওর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। হেরে যাওয়ার ভয়ে এসব কথা বলছেন। হুগলিতে একটাও সিট পাবে না। মহিলা হয়ে আরেকজন মহিলাকে দুর্নীতির সঙ্গে জড়াচ্ছেন। বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। নন্দীগ্রামে উনি হারবেন। দুর্নীতি প্রমাণ করুন আগে।”হুগলিতে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রকে তীব্র তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।তৃণমূল সুপ্রিমো সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, “গুজরাটিরা বাংলা শাসন করবে না। বিজেপির মণ্ডলরা ঠিক করে দিচ্ছে নির্বাচনের দিন। বলবে, কোভিড হয়েছে বলে নির্বাচন বন্ধ করে দাও! এসব চলবে না। ভোট যখন শুরু হয়েছে, শেষ করতে হবে।”এমনকি বাংলায় কলকারখানা বন্ধ হওয়ার পিছনেও কেন্দ্রকেই দায়ি করেন মমতা। তিনি বলেন, অনেক কলকারখানা বন্ধ হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য। জেশপ সংস্থা খোলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়েছি। কারখানার মালিক বিজেপি হয়ে গিয়েছে। তাই বিজেপি কিছু করছে না বলে অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এখানকার শ্রমিকদের আমরা ১০ হাজার টাকা করে দি। আমরা ডানলপ, জেশপ অধিগ্রহণ করতে চাই। কেন্দ্রীয় সরকারকে বলে লাভ হয়নি বলে দাবি তাঁর।একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। এদিনের জনসভা থেকে তিনি বলেন “এক পায়ে বাংলা জয় করব, আর দুটো পায়ে দিল্লি জয় করতে হবে আগামী দিনে।”