রায়গঞ্জ , ২৩ আগস্ট : স্বর্ণ শিল্পে পুরোপুরি ভাবে চালু হচ্ছে হলমার্ক প্রথা। এবারে এনিয়ে আন্দোলনে নামল স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা৷ সোমবার সারা দেশের সঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলার সমস্ত সোনার দোকান বন্ধ ছিল। আন্দোলনকারী স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, গ্রাহকেরা যাতে খাঁটি বিশুদ্ধ সোনা গয়না পায় সেই চেষ্টাই তারা করেন অথচ কেন্দ্রীয় হলমার্ক প্রথা চালু করে ব্যবসায়ী নানা সমস্যায় ফেলে দিয়েছে। সমস্যা সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।
উল্লেখ্য দোকান থেকে কেনার পর সোনা গয়না কতখানি খাঁটি তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন দেখা দেয়। ফলে অনেক সময় সাধারণ মানুষ অনেক টাকা দিয়ে গয়না কিনেও তা বিক্রি বা গচ্ছিত রেখে ঋণ নেওয়ার সময় কাঙ্ক্ষিত মূল্য পান না। এ যেন বিনা মেঘেই বজ্রপাতের মতো! তাই সোনার গয়না কতটা খাঁটি তা কেনার সময়ই নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন ক্রেতাদের। আর সহজেই তা নিশ্চিত হওয়া যায় হলমার্কের(Hallmark) পদ্ধতিতে। গ্রাহক স্বার্থ রক্ষায় এই হলমার্ক নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করাই নয়, এবার স্বর্ণশিল্পে পুরোপুরি চালু হচ্ছে হলমার্ক প্রথা। হলমার্ক ছাড়া সোনা বিক্রি করতে পারবেন না কোন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। উল্লেখ্য সোনা কতটা খাঁটি তা নির্ধারণের মানদণ্ড ‘ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস’ বা BIS নির্ধারণ করে দেয়। আর শুদ্ধতার প্রতীক হল ‘হলমার্ক’। এখনও এদেশে হলমার্ক ছাড়াও গয়না বিক্রি করা যায়। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার দেশজুড়ে গয়নায় হলমার্ক বাধ্যতামূলক করতে চলছে। এই নিয়ম চালু হলে আখেরে লাভবান হবেন গ্রাহকরাই। কারণ প্রত্যেক ব্যবসায়ী তখন গয়না তৈরির সময় মানদণ্ড বজায় রাখতে বাধ্য হবেন। ফলে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার ঘটনা কমবে। তবে এই হলমার্ক প্রথা চালুর সহ পরিকাঠামো নিয়ে প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। সোমবার দেশজুড়ে একদিনের প্রতীকি ধর্মঘটের ডাক দেন তারা। ফলে উত্তর দিনাজপুর জেলার সমস্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা দোকানের ঝাঁপ বন্ধ রেখে প্রতিবাদে সামিল হন। রায়গঞ্জের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিপ্লব ঘোষ বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার হলমার্ক প্রথা চালু করলেও পরিকাঠামো গত বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়েছে৷ সেই সমস্যা অবিলম্বে সমাধান করা হোক। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।