নিউজ ডেস্ক , ২০ অক্টোবর : আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমিষ পদে রসুন প্রয়োজন হয়। সেজন্য রসুন আমিষ। মাংস রান্না করা কিংবা রসুনের চপ অনেক ক্ষেত্রেই খেয়ে থাকি। কিন্তু রান্না করা রসুনের থেকে কাঁচা রসুনের উপকার অনেক বেশি। আসুন জেনে নিই রসুন থেকে কী কী উপকার পাই আমরা—–
১) রসুন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে : রসুনের মধ্যে থাকা বায়োঅ্যাকটিভ সালফার, রক্তচাপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শরীরের সালফারের ঘাটতি দেখা দিলে তবেই রক্তচাপ বাড়তে শুরু করে।
২) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে : রসুনে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, যা দেহের আনাচকানাচে জমতে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না।
৩) হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় : রসুনে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ রয়েছে। এই উপাদানটি একদিকে যেমন শরীরে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, তেমনি উচ্চ রক্তচাপকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৪) জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে : আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময় যারা সর্দি-কাশিতে তারা ই দুই কোয়া রসুন খেতেই পারেন। কারণ রসুন শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে খুব শক্তিশালী বানিয়ে দেয়। ফলে ভাইরাসের আক্রমণে শরীর দমে আশঙ্কা কমে।
৫) সংক্রমণ সব দূরে থাকে : রসুনে থাকা একাধিক কার্যকর উপাদান ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস সহ একাধিক জীবাণুর সংক্রমণ আটকাতে তাড়াতাড়ি কাজে আসে। প্রতিদিন ১-২ কোয়া রসুন খেলে এমন ধরনের সব রোগ থেকে রেহাল মেলে।
৬) ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় : শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান বা টক্সিনের কারণে ত্বকের যাতে কোনও ধরনের ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে রসুন। সে সঙ্গে কোলাজিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখার মধ্যে দিয়ে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
৭) রক্ত বিষমুক্ত হয় : প্রতিদিন এক গ্লাস গরম জলের সঙ্গে দুটি রসুনের কোয়া খেলে রক্তে থাকা নানা বিষাক্ত উপাদান শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে ত্বক এবং শরীর উভয়ই চাঙা হয়ে ওঠে।
৮) হাড় শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে : নিয়মিত রসুন খাওয়া শুরু করলে দেহের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি প্রপাটিজের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে একদিকে যেমন নানাবিধ যন্ত্রণা কমে, তেমনি হাড়ের ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।