নিউজ ডেস্ক, ১৯ অক্টোবর : কম খরচে পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে জুড়ি মেলা ভার ডিমের। ডিম ভাতে ভাত হোক কিংবা ডিমের পোচ – দৈনিক জীবনযাপনে বহুল জনপ্রিয় সারা বঙ্গদেশেই।এমনকী রাজনৈতিক দলের কর্মসূচীতেও ডিম ভাত সর্বজনস্বীকৃত।
এই ডিমের ওপরে এতটা ভরসা করার কারণ রয়েছে অনেকগুলো। আগে মনে করা হত বেশী ডিম খেলে ওজন বেড়ে যায়। এমনকী ডিমের কুসুম কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়।বরঞ্চ আধুনিক গবেষনা নস্যাৎ করেছে এই সমস্ত ধারণাকে। ডিমের কুসুম বাড়িয়ে তোলে ভাল কোলেস্টেরলের পরিমাণ। তাই দাম খানিকটা হলেও ডিম খেতে ভালোবাসে আট থেকে আশি সকলেই।চলুন দেখেনি কিভাবে খেলে পাওয়া যাবে ডিমের সমস্ত উপকারিতাঃ
১) স্যালাড হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন সব্জির সঙ্গে সেদ্ধ ডিমের কুচি মিশিয়ে নেন। উপর দিয়ে ছড়িয়ে দিন গোলমরিচ ও লবণ। এতে সব্জির পুষ্টিগুণের সঙ্গে মিলবে ডিমের ভরপুর পুষ্টি।
২) ডিম খাওয়া যেতে পারে ওটসের সঙ্গে। ওটমিল শরীরে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড জমতে দেয় না। ডিম দেয় পুষ্টি। দুইয়ের মিলিত চেষ্টায় শরীরে মেদ জমে না।
৩) ডিম খান সেদ্ধ করে। অতিরিক্ত ঝাল মশলা দিয়ে রান্না করে নয়। এতে পুষ্টিগুণ পাওয়া যাবে না সেভাবে। বরঞ্চ হতে পারে বদহজম, ওজন বাড়ার মত সমস্যাও।
৪) সেদ্ধ ভালো না লাগলে খেতে পারেন পোঁচ করে। তবে তেলের পরিবর্তে জল ও ভিনিগার দিয়ে পোঁচ বানান। আস্ত থাকবে কুসুম।এভাবে খেলে ডিমের সবটুকু পুষ্টিগুণ মেলে। মেদ জমার ভয় থাকে না।
প্রত্যেক সুস্থ মানুষ একটি করে ডিম রোজ খেতে পারেন। খেতে পারেন হার্টের রোগীরাও। তবে কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতই ডিম খাওয়া উচিত। তবে সুস্থদেরও একসঙ্গে অনেক ডিম খাওয়া উচিত নয়। এতে পারে বদহজমের মত সমস্যাও। ফলে রবিবার হোক বা সোমবার; ডিম খান রোজই – কিন্তু বুঝে-শুনে, নিয়ম মেনে।