নিজস্ব সংবাদদাতা , চাঁচল , ১৩ অক্টোবর : চাঁচলের প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম চাঁচল রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। যদিও সাড়ে তিনশ বছরের প্রাচীন এই পুজোয় এবারে পড়েছে করোনার ছায়া। মানা হচ্ছে সমস্ত বিধি-নিষেধ। এমনকি চণ্ডীমণ্ডপে প্রবেশের ক্ষেত্রেও রয়েছে নানান সর্তকতা। উল্লেখ্য চাচল রাজবাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই পাহাড়পুরে চণ্ডীমণ্ডপ।
কথিত আছে,চাঁচলের রাজা শরতচন্দ্র রায়চৌধুরীর আমলে স্বামীর সঙ্গে সহমরণে যান পরিবারের এক বধু। স্বপ্নাদেশ পেয়ে বংশধর রাজা রামচন্দ্র সতীঘাট থেকে অষ্টধাতুর দেবীপ্রতিমা উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। যা রাজবাড়ি লাগোয়া ঠাকুরবাড়িতে পূজিতা হয়ে আসছেন। ষষ্ঠীর ১২ দিন আগে কৃষ্ণা নবমীততে প্রথা মেনে পুজো শুরু হয় এখানে। এবছরও তার অন্যথা হয়নি। যদিও মলমাসের কারণে এবারে এক মাস ধরে পুজো হচ্ছে এখানে।এখানকার দেবীমূর্তি চতুর্ভূজা। নিয়মানুযায়ী সপ্তমীর সকালে অষ্টধাতুর দেবীপ্রতিমা রাজবাড়ি থেকে শোভাযাত্রা সহকারে আনা হয় পাহাড়পুরের চণ্ডীমণ্ডপে। আয়োজিত হয় কুমারী পুজোও। বর্তমানে এই পুজো পরিচালনা করে আসছেন ট্রাস্টি বোর্ড।তবে দুর্মূল্যের বাজারে পুজোর খরচ যোগাতে এগিয়ে আসেন এলাকার বাসিন্দারাও। দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য ভক্তের ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠে রাজবাড়ির পূজো মন্ডপ। যদিও এবার অতিমারীর কারণে নেওয়া হয়েছে নানান সর্তকতা। মন্দিরের সামনে মূল ফটকের আগেই বসানো হচ্ছে ব্যারিকেড। তার ওপার থেকেই এবারে পুজো দিতে পারবেন ভক্তরা। নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভক্তদের গর্ভগৃহে প্রবেশও। নিয়মিত করা হবে স্যানিটাইজেশন। মানা হবে সামাজিক দূরত্ববিধি। সমস্ত সরকারি নিয়ম মেনেই এবছর এখানে পুজোর আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও চাচল রাজবাড়ি