নিউজ ডেস্ক, ০৮ আগস্ট : শনিবার আমবাসা যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীদের দ্বারা আক্রান্ত হন তৃণমূলের দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত ও সুদীপ রাহা। হামলার জেরে মাথা ফেঁটে যায় সুদীপ রাহা’র। ঘটনার জেরে শনিবার রাত থেকেই ত্রিপুরার খোয়াই থানায় অবস্থান বিক্ষোভ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতারা।
এরপর রবিবার ভোরে মহামারি আইন ভঙ্গ করা হয়েছে এই অভিযোগেই ১১ জন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের রবিবারই পেশ করা হবে আদালতে।খবর পেয়েই ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, দোলা সেন। রবিবার সকালে ত্রিপুরা পৌঁছে সোজা থানায় পৌঁছে যান তারা। কোন অভিযোগের ভিত্তিতে দলের ১১ জন যুব নেতা-নেত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই নথি দেখতে চান তাঁরা। পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় তাঁদের। প্রসঙ্গত, দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে শনিবার আক্রান্ত হয়েছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত-সহ ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা। অভিযোগ, রাস্তায় আতর্কিতে তাঁদের উপর চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী। প্রথমে গাড়িতে ইট মারা হয়। এরপর লাঠি, রড দিয়ে হামলা করা হয়। গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। ইটের আঘাতে আহত হন তৃণমূল নেতারা। রাতে ধর্মনগর থেকে যখন ফিরছিলেন, তখন ফের তৃণমূল নেতানেত্রীদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।ঘটনায় বিজেপিকে নিশানা করে টুইট করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন,”ত্রিপুরায় বিজেপির গুন্ডারা প্রকৃত রং দেখিয়ে দিয়েছে। তৃণমূল কর্মীদের উপরে বর্বরোচিত হামলা ত্রিপুরায় বিপ্লব দেব সরকারের গুন্ডারাজ প্রকাশ করে দিল। আপনাদের হুমকি ও আক্রমণ অমানবিকতার প্রমাণ। যা পারেন করুন। তৃণমূল এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বে না।”২০২৩-এর মার্চে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্যের ক্ষমতা দখলে সংঘাত চরমে তৃণমূল বিজেপির।