নিউজ ডেস্ক , ০৯ মার্চ : এবারের বিধানসভা নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ রাখতে সবধরনের তৎপরতা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।গোলমাল রুখতে এবারে বেশীরভাগ বুথে থাকতে পারে ‘ওয়েবকাস্টিং’ পদ্ধতি। গোলমালের আঁচ পেলে যাতে দ্রুত নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ নিতে পারে সেজন্য উদ্যোগী হয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রের ‘সংবেদনশীল, উত্তেজনাপূর্ণ ও জটিল’ বুথগুলিতে ওয়েবকাস্টিংয়ের সুবিধা রাখতেই হবে। এই ধরনের বুথ-সংখ্যা অথবা মোট বুথের ৫০ শতাংশ— যেটা বেশি হবে, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে সেই সংখ্যক বুথে। ওয়েবকাস্টিং হলে কমিশন-কর্তা, মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের দফতর, জেলা নির্বাচনী অফিসার , রিটার্নিং অফিসার এবং বিশেষ পর্যবেক্ষকদের কার্যালয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভোট-প্রক্রিয়ার স্পষ্ট শব্দ-সহ ভিডিয়ো ছবি সম্প্রচারিত করা যাবে।ভোটে কোথায় গোলমাল হতে পারে, সেই নিরিখেই সংবেদনশীল, উত্তেজনাপূর্ণ এবং জটিল বুথগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে। শুধু আইনশৃঙ্খলা নয়, ভোটারদের নানা ভাবে প্রভাবিত করা কিংবা ভয় দেখানোর তথ্যকেও বিবেচনায় রাখা হবে। এই ক্ষেত্রে গত বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে।প্রথম দফার ভোটের আগেই সব মিলিয়ে ৪৯৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কমিশনের হাতে। প্রথম পর্ব পাঁচ জেলায় ৩০টি আসনের ১০,২৮৮টি বুথে ভোট হবে। সব বুথেই আধাসেনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাইছে কমিশন।
ওয়েবকাস্টিংয়ের আওতায় আনা হলে কমিশনের পক্ষে সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও সহজ হবে নির্বাচন কমিশনের তরফে। ইতিমধ্যে ওয়েবকাস্টিং নিয়ে পেশাদার সংস্থাকে বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদেরকে। এই পদ্ধতিতে একাধিক দিক থেকে যেমন ভোট-পরিস্থিতি ক্যামেরাবন্দি করার পাশাপাশি সেগুলির ‘লাইভ ফিড’ সংরক্ষণও করা যাবে। এমনকী অল্প আলোতেও ক্যামেরাগুলি ছবি তুলতে পারবে। যার দ্বারা সহজেই গন্ডগোল প্রতিহত করতে পারা যাবে বলে জানা গিয়েছে নির্বাচন কমিশনসুত্রে।