নিউজ ডেস্ক , ০৯ মার্চ : ধূমকেতুর বিশিষ্টতা লুকিয়ে আছে তার লেজের মধ্যে। তার এই দীর্ঘাকৃতির লেজই তাকে অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তুর থেকে আলাদা করে দেয়। কিন্তু শুধু ধূমকেতু নয়, পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহে চাঁদেরও রয়েছে এমনই লেজ। ১৯৯৮ সালে শক্তিশালী ক্যামেরার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা চিহ্নিত করেছিলেন যে চাঁদ থেকে এক ধরণের অদৃশ্য রশ্মি ক্রমাগত বিকিরিত হয়ে চলেছে।
সূর্যের বিপরীত দিকে পৃথিবীর কক্ষপথের ব্যাসার্ধ বরাবর ছড়িয়ে পড়ছে সেই রশ্মি। যা দেখতে হুবহু ধূমকেতুর লেজের মতই।তবে এটি স্থায়ী না অস্থায়ী তা নিয়ে মতবিরোধ ছিল বিজ্ঞানীদের মধ্যেই। তবে ২০০৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনার এল লিওনসিটো অবজার্ভেটরিতে অবস্থিত অল-স্কাই ইমেজার ক্যামেরায় তোলা ২১ হাজার ছবি তুলে ধরেছে এক ভিন্ন ছবি। চাঁদ ও ধূমকেতু উভয়েরই লেজ তৈরি হওয়ার কারণ একই। দুই ক্ষেত্রেই বিকিরিত হয় সোডিয়াম কণা।ফলে চাঁদ ও ধূমকেতুর মধ্যে কোন সাদৃশ্য আছে কিনা তা নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। কিভাবে এই লেজ তৈরি হয়েছে তা নিয়েও হয়েছে দীর্ঘ গবেষণা। বিজ্ঞানীদের মতে, চাঁদে বায়ুমণ্ডল না থাকায় সহজেই চন্দ্রপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ে উল্কাবৃষ্টি, ধূমকেতু। চাঁদের সঙ্গে সংঘর্ষে ধূমকেতু থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসে বিপুল পরিমাণ সোডিয়াম পরমাণু। সূর্য থেকে আগত ফোটন কণার সঙ্গে এই সোডিয়াম পরমাণুর সংঘর্ষ হলে তা বিকিরিত হয় সূর্যের ব্যাসার্ধ বরাবর বাইরের দিকে। পৃথিবীর ঠিক নাকের ডগায় অদ্ভুত রহস্যময় এই মহাজাগতিক কাণ্ডকারখানা কিভাবে বছরের পর বছর চলে আসছে তা সত্যি বিস্ময়কর। যদিও চাঁদের এই বিকিরণ মহাজাগতিক পরিমণ্ডলে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে দাবী বিজ্ঞানীদের।