নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ০৩ মার্চ : রায়গঞ্জে নতুন দিশায় তৈরি হচ্ছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ফোরলেন। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়তে চলেছেন রায়গঞ্জ শহরের হাজার হাজার যানবাহন মেরামত ও নির্মান শ্রমিক সহ গ্যারেজ ব্যবসায়ীরা। রায়গঞ্জ শহরকে বাদ রেখে সাত কিলোমিটার দূরে গ্রাম্য এলাকা দিয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন ফোরলেন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। ব্রাত্য হয়ে পড়ছে রায়গঞ্জ শহরের উপর দিয়ে যাওয়া বর্তমান ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। আর এর জেরেই হাজার হাজার গ্যারেজ ব্যাবসায়ী থেকে শ্রমিকেরা কর্মহীন হয়ে পড়তে চলেছে।
রায়গঞ্জ শহরের কসবা মোড় থেকে উকিলপাড়া, শিল্পীনগর, নেতাজীপল্লী, অশোকপল্লী, শিলিগুড়ি মোড় হয়ে সোহারই বারোদুয়ারি এলাকার উপর দিয়ে চলে গিয়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। বছর খানেক আগেই রায়গঞ্জে শুরু হয়ে জাতীয় সড়ক বাইপাস নির্মানের কাজ৷ রায়গঞ্জ শহরের কুলিক নদীর ধারে জাতীয় সড়ক পাশে রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম কুলিক পক্ষীনিবাস। এই কুলিক পক্ষীনিবাসকে বাঁচাতে রায়গঞ্জ শহরের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক শহরকে বাদ দিয়ে সাত কিলোমিটার দূরে রূপাহার থেকে বাইপাসের কাজ শুরু হয়।
চাপদুয়ার, বাহিন সহ বিভিন্ন গ্রাম্য এলাকা হয়ে পানিশালায় উঠেছে ফোরলেন বাইপাস। এর ফলে বারোদুয়ারি থেকে রায়গঞ্জ শহরের শিলিগুড়ি মোড় হয়ে কসবা মোড় পর্যন্ত বর্তমান ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে থাকা কয়েক হাজার লরি, বাস সহ যানবাহন মেরামতের গ্যারেজগুলির কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। বাইপাস নির্মান শেষ হলেই কলকাতা-শিলিগুড়িগামী দূরপাল্লার লরি, বাস সহ সমস্ত যানবাহন ফোরলেন বাইপাস দিয়েই যাতায়াত করবে৷ বন্ধ হয়ে যাবে রায়গঞ্জ শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে থাকা গ্যারেজ ব্যবসা। কর্মহীন হয়ে পড়বেন হাজার হাজার শ্রমিক। রুজি রুটির আশঙ্কায় দিন গুণছেন গাড়ি মেরামতের সাথে যুক্ত হাজার হাজার মিস্ত্রী ও শ্রমিকেরা। রায়গঞ্জের গ্যারেজ ব্যাবসায়ী সমিতি তথা ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তিমির মজুমদার জানিয়েছেন, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাস নির্মাণের জন্য শহরের উপর দিয়ে থাকা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ফোরলেনের দাবি জানিয়েছিলাম আমরা। কিন্ত কুলিক পক্ষীনিবাস বাঁচানোর কারণ দেখিয়ে রূপাহার থেকে গ্রামাঞ্চল এলাকার উপর দিয়ে ফোরলেন বাইপাস করেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। এর ফলে রায়গঞ্জ শহরে থাকা বহু গ্যারেজ ব্যবসায়ী ও শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়বে। সংগঠনের পক্ষ থেকে এদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে রুজি রুটির ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হবে বলে জানান তিমির বাবু।