নিউজ ডেস্ক , ১৪ নভেম্বর : জীবনে কোন কিছু শেখারই যে নির্দিষ্ট বয়স হয় না এই আপ্তবাক্যটি প্রমাণ করেছেন তিরুচির এক চিকিৎসক। মেডিক্যাল কলেজে গাইনোকলজি নিয়ে পড়াশোনার পাঠ শেষ করে প্রায় ৬০বছর আগে কর্মজীবনে প্রবেশ করেছিলেন ডঃ জি. গণপতি। বহুবছর চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের পর কিছুদিন আগে থেকে ফের শুরু করেছিলেন পড়াশোনা।
আর সেই সুবাদেই ৮১ বছর বয়সে এসে প্রকাশিত হলো তার গবেষণাপত্র। স্তন ক্যান্সার নিয়ে তিনি পি.এইচ.ডি. কাজ শেষ করলেন সম্প্রতি। উল্লেখ্য মেডিক্যাল কলেজের পড়াশোনা শেষ করেই সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগের যুক্ত হয়েছিলেন জি. গণপতি। প্রায় ৪০বছর ধরে সরকারী বিভাগে যুক্ত থেকে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের পর ১৯৯৭ সালে অবসর নেন তিনি।এরপরেই তিরুচিতেই খুলেছিলেন নিজস্ব চেম্বার। সুদীর্ঘ এই চিকিৎসক জীবনে বহু মহিলাকে তিনি স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে দেখেছেন।সেটাই ভাবিয়ে তুলেছিল তাকে। সেজন্যই গবেষণার জন্য নতুন করে নাম লেখান তিরুচি এনআইটিতে। বিষয়বস্তু বেছেছিলেন স্তন ক্যান্সার। তবে চিকিৎসার গুরুদায়িত্ব সামলেও কখনও ক্লান্ত হননি এই গবেষণার কাজে। প্রতিদিন নিয়ম করে তিনি তার প্রয়োজনীয় অ্যাসাইনমেন্ট জমা করেন। ফাঁক রাখেননি তথ্য সংগ্রহ কিংবা তার বিশ্লেষণের কাজেও। গত শনিবারই এনআইটি-তিরুচি থেকেই তিনি পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। ভার্চুয়াল কনভোকেশনে ডিরেক্টর মিনি সাজি থমাসের উপস্থিতিতে এই ডিগ্রি প্রদান করা হয় তাঁকে।তার এই উদ্যম ও অদম্য মানসিকতা অনুপ্রেরণা জোগাবে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পড়াশোনা থেকে বিচ্ছিন্ন ছাত্রদের।