রায়গঞ্জ, ১৭ জুন : তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন, এই আশঙ্কায় আগে থেকেই তৃণমূল থেকে বর্হিষ্কৃত কাউন্সিলার ও বিজেপি নেতা অসীম অধিকারী ওরফে নদোর বিরোধীতা করে পোস্টার পড়ল রায়গঞ্জের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে। উল্লেখ্য বিধানসভা ভোটের আগে রায়গঞ্জের গোয়ালপাড়া এলাকায় ঢাকঢোল পিটিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রায়গঞ্জ পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অসীম অধিকারী৷
বিজেপিতে যোগদানের আগে থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস থেকে দূরত্ব তৈরি করেছিলেন তিনি৷ এমনকি বিধানসভা ভোটে তাঁর ওয়ার্ডে দেওয়াল লিখন, প্রচার থেকেই নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন৷ পাশাপাশি বিভিন্ন দুর্নীতি ও দল বিরোধী কাজের অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে। এরপরেই দল বিরোধী কাজের অভিযোগে তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বর্হিষ্কার করা হয়৷ এলাকাবাসীদের একাংশের অভিযোগ, বরাবরই সুবিধাবাদী নেতা বলে পরিচিত অসীম অধিকারী ২০১৭ সালে রায়গঞ্জ পুরসভা ভোটের সময় কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দান করেন। কিন্তু বিজেপিকে বিধানসভা নির্বাচনে পর্যুদস্ত করে তৃণমূল কংগ্রেস পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসায় বিজেপিতে যাওয়া অনেক নেতাই ফের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে চাইছেন। এই পরিস্থিতিতে সেই সমস্ত নেতাদের দলে ফিরিয়ে নেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত হবে তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে রায়গঞ্জের ২৫ ওয়ার্ডের ‘গদ্দার’,’বেইমান’ আখ্যা দিয়ে অসীম অধিকারীকে পুনরায় তৃণমূলে নেওয়া চলবে না বলে দেবপুরী, গয়ালাল মাঠ, কালীবাড়িতে প্রচুর পোস্টার পড়েছে। এনিয়ে এলাকায় বাসিন্দাদের মধ্যেই আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ে৷ এদিন অসীম অধিকারীর সাফাই, চার বছর নিষ্ঠার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসে কাজ করেছি। কোনো দুর্নীতি হয় নি। সরকারি ঘর, শৌচাগার নির্মাণ প্রকল্পে কোনো দলবাজী করি নি। দুর্নীতির অভিযোগ প্রশ্নাতীত৷ তবে স্ত্রী ও মেয়ের চিকিৎসার জন্য বাইরে থাকায় দলের হয়ে কোনো কাজ করতে পারিনি। কিন্তু দল বিরোধী কোনো কাজ করিনি।’ এদিকে রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান ও তৃণমূল কংগ্রেস জেলা মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, পোস্টার পড়ার মধ্যে অন্যায়ের কিছু দেখছি না। তবে কাউকে দলে নেওয়া হবে কি না তার সিদ্ধান্ত নেবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। এখানে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই।’