নিউজ ডেস্ক , ১৫ মার্চ : বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীপদ না মেলায় পদ্মত্যাগ করলেন শোভন-বৈশাখী। ইতিমধ্যে দলীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে সেকথা জানিয়ে দিলেন তাঁরা। সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষ, অরবিন্দ মেননকে এই সিদ্ধান্তের কথা চিঠি লিখে জানিয়েছেন তাঁরা। রাগ একটাই।
প্রার্থিত আসন বেহালা পূর্ব থেকে প্রার্থী করা হয়নি শোভনকে। যেটাকে ‘চক্রান্ত’ ও ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে মনে করেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বেহালার পূর্বে গেরুয়া শিবির এবার প্রার্থী করেছে সদ্য দলে যোগ দেওয়া অভিনেত্রী পায়েল সরকারকে। ফেসবুকে ছবি-সহ পোস্ট দিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন শোভন-বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলে থাকাকালীন পর পর দু’বার ওই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে মন্ত্রীও হয়েছেন। এই বিধানসভা এলাকার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে থেকে কাউন্সিলর হয়েই কলকাতার মেয়র হয়েছিলেন। তবে বিজেপি যদি এ বার শোভনের দাবি মেনে নিত তবে ওই আসনে স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হত তাঁর। কারণ তৃণমূল টিকিটে এই আসনেই প্রার্থী হয়েছেন শোভন স্ত্রী রত্না। কিন্তু বিজেপি টিকিট দেয়নি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। সেখানে প্রার্থী করা হয়েছে অভিনেত্রী পায়েল সরকারকে। সেই ঘোষণার পরই ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়। যদিও শোভনের এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। ফেসবুক পোষ্টে বৈশাখী লেখেন, “‘আপনি আমার আইকনই থাকবেন। আজকের অবমাননা আমাদের উৎসাহ নষ্ট করতে পারবে না। ষড়যন্ত্র কখনও দীর্ঘস্থায়ী হয় না। পূর্ব বেহালার মানুষ আপনাকে ভালোবাসে। সেটাই আপনার মূল শক্তি।”
উল্লেখ্য, রবিবার বিধানসভা নির্বাচনের তৃতীয় ও চতুর্থ দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। সেই তালিকায় নাম না থাকায় একপ্রকার ক্ষোভেই দলত্যাগ করলেন শোভন-বৈশাখী।