নিউজ ডেস্ক, ১৬ নভেম্বর : অভিনয় থেকে অবসর নিয়েছেন অনেক বছর আগেই৷ থাকেন না দেশেও৷ আমেরিকায় থাকলেও তাঁর বলিষ্ঠ অভিনয় নিয়ে এখনও প্রশংসায় ভরিয়ে দেন সত্তর-আশি প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা। আমরা যার কথা বলছি তিনি হলেন নব্বইয়ের দশকের বলিউডের সুপার স্টার অভিনেত্রী মীনাক্ষী শেষাদ্রি। আজ তাঁর জন্মদিন।
ঝাড়খণ্ডের এক তামিল পরিবারে ১৯৬৩ সালের আজকের দিনেই জন্ম মীনাক্ষীর। ছোট থেকেই স্বদেশী নৃত্যকে খুব ভালবাসতেন। মূলত ভরতনাট্যম, কুচিপুড়ি, কত্থক ও ওডিশিতে দারুণ প্রশিক্ষিত ছিলেন তিনি। ১৯৮১ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি ‘মিস ইন্ডিয়া’র শিরোপা লাভ করেছিলেন। ওই বছরেই টোকিয়োতে ‘মিস ইন্টারন্যাশনাল’-এর মঞ্চেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সাফল্য আসেনি৷ ১৯৮৩ সালে তাঁর আত্মপ্রকাশ বড় পর্দায়। প্রথম ছবি ‘পেন্টার বাবু’-তে তাঁর বিপরীতে নায়ক ছিলেন মনোজ কুমারের ভাই রাজীব গোস্বামী। দ্বিভাষিক এই ছবি মুক্তি পেয়েছিল তেলুগু ও হিন্দিতে। প্রথম ছবির পরেই চলচ্চিত্র জগৎকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন। পরে পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের একটি ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাবে মত পাল্টে ফেলেন তিনি। ‘হিরো’ ছবিতে জ্যাকিশ্রফের সঙ্গে অভিনয়ে প্রস্তাবে রাজী হন। এরপরেই সুপারডুপার হিট হয় হিরো। এই ছবির দৌলতে রাতারাতি তারকা বনে যান মীনাক্ষীকে। যদিও হিরো ছবি দিয়েই বলিউডে এন্ট্রি হয় জ্যাকিশ্রফের৷ মীনাক্ষীর হিট ছবি গুলোর মধ্যে রয়েছে শাহেনশা, তুফান, মেরি জঙ্গ, জুর্ম, গঙ্গা যমুনা সরস্বতী, আজ কা গুণ্ডারাজ, সত্যমেব জয়তে, ঘায়েল, ঘর হো তো অ্যাইসা, বিস সাল বাদ, দামিনী তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি। জনপ্রিয়তা তুঙ্গে থাকতেই ১৯৯৫ সালে মীনাক্ষী বিয়ে করেন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার হরিশ মাইসোরকে। এরপর ১৯৯৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ঘাতক’- ছবিতে তাঁকে দেখা গিয়েছিল নায়িকা হিসেবে। তবে বিয়ের পরে বলিউড থেকে বিদায় নেন মীনাক্ষী। বর্তমানে তিনি মার্কিন মুলুকের বাসিন্দা। টেক্সাসে স্বামী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে তাঁর ঘর সংসার। অভিনয় জগত থেকে অবসর নিলেও নাচ এখনও তাঁর নিত্য সঙ্গী। আমেরিকাতে চেরিশ ডান্স স্কুল খুলে নাচ শেখান মীনাক্ষী।