নিউজ ডেস্ক , ৪ এপ্রিল : দেশজুড়ে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় পর্ব। আক্রান্তের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। রবিবার দৈনিক নয়া আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩,০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা প্রায় সাড়ে ছ’মাসে সর্বাধিক।
এই পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণে রাশ টানতে রবিবার একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ক্যাবিনেট রাজীব গৌবা, প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পি কে মিশ্র, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ, নীতি আয়োগের সদস্য তথা কেন্দ্রের কোভিভ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ভি কে পল-সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। যেভাবে দেশে করোনার সংক্রমণের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হচ্ছে, সে বিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এ পর্যন্ত সংক্রমণ সবথেকে বেশি হল গত ২৪ ঘণ্টায়। শনিবারের নতুন ৯৩,২৪৯টি সংক্রমণের পর দেশের মোট সংক্রমণ গিয়ে দাঁড়াল ১.২৪ কোটিতে। মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, ছত্তিসগড়, দিল্লি, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশে, পঞ্জাব এবং মধ্যপ্রদেশ মিলিয়ে আক্রান্ত প্রায় ৮১.৪২ শতাংশ। কেন্দ্রের তরফে এই রাজ্যগুলোকে ইতিমধ্যেই কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা নিয়ে সতর্ক দৃষ্টি নিতে বলা হয়েছে।ইতিমধ্যেই প্রত্যেক রাজ্যকে টেস্ট ট্র্যাক ও ট্র্যাসে জোর দিতে বলেছে কেন্দ্র। টিকাকরণও চলছে জোর কদমে। কেন্দ্র প্রত্যেক রাজ্যকে সারা এপ্রিল জুড়ে ছুটির দিনেও টিকাকরণ চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ প্রত্যেক রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়ে জানান, স্বাস্থ্যকর্মীদের নতুন করে করোনা টিকার রেজিস্ট্রেশন আপাতত বন্ধ রাখতে হবে। সেই জায়গায় ৪৫ ঊর্ধ্বদের করোনা টিকাকরণে জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র।