আরসিটিভি সংবাদ –ফোর লেনের জাতীয় সড়ক।কমবে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতার দূরত্ব।কুলিক পক্ষীননিবাসকে বাঁচাতে রায়গঞ্জ শহরকে বাইপাস করে নির্মান হচ্ছে ফোর লেন জাতীয় সড়ক।কিন্তু বারেবারে থমকে যাচ্ছে কাজ কিন্তু কেন?
আরও পড়ুন – সুপার মার্কেট বাজার সচল করার উদ্যোগ রায়গঞ্জ পৌরসভার
দেখলেন তো কেমনভাবে রনকালি দাপিয়ে বেড়ালেন।রায়গঞ্জের মধুপুর এলাকায়।শনিবার এমন দৃশ্য আমরা দেখিয়েছিলাম আমাদের আরসিটিভি সংবাদ চ্যানেলে।কিন্তু তারপর কি হলো?কি চান এলাকার বাসিন্দারা।শুনুন।ঠিকই তো এলাকার মানুষ চান মন্দিরও থাক,তৈরী হোক রাস্তাও।প্রশাসন সঠিক উদ্যোগ গ্রহন করে শনিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে।কারন উন্নয়নমূলক কাজ থমকে গেলে রাজ্যের অর্থ বরাদ্দ আটকে দিতে পারে কেন্দ্র।সমস্যা সমাধানে প্রশাসন এলাকায় পৌঁছায় তার সমাধানে।কিন্তু প্রশাসনিক কাজ বারবার থমকে গেছে রনকালি মন্দিরের সামনে।এই ফোর লেন জাতীয় সড়ক নির্মানে একাধিক মন্দির মসজিদ হয় ভাঙা হয়েছে নতুবা স্থানান্তর করা হয়েছে।রায়গঞ্জের মধুপুর এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য কি চাইছেন।শুনুন
আরও পড়ুন – রায়গঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বিনা পারিশ্রমিকের পাঠশালা
তাহলে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জানালেন,মন্দির সরাতে তাদের কোনও আপত্তি নেই।চাই রনকালি মাতার নামে থাকা সাড়ে পাঁচ শতক জায়গা।তাহলে মন্দির সরিয়ে রাস্তা নির্মানে আপত্তি নেই এলাকার মানুষের।তবে এক্ষেত্রে আবার এলাকার কিছু মানুষ চান রনকালির থান থাক বর্তমান স্থানেই।ঘুরিয়ে দেওয়া হোক ফোর লেন রাস্তা।
আরও পড়ুন – জলপাইগুড়িতে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল কামরূপ এক্সপ্রেস
কিন্তু প্রশ্ন জাতীয় সড়ক নির্মানে জমি অধিগ্রহনে সমস্যা হলে তা তো দেখার কথা রাজ্যের।রাজ্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে জমি হস্তান্তর করলে তবেই তো তৈরী হয় জাতীয় সড়ক।আর প্রশাসন তো সেই নির্দেশই পালন করছে।কি বলছেন জাতীয় সড়কের মালদা ডিভিশনের বাস্তুকার সাদাব আলম।
আরও পড়ুন – মালদায় বন্ধুদের চায়ের আড্ডায় চললো গুলি !
শুনলেন তো জমির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জমা হলেও তা বিলি কেন করা যায় নি।কারন সেখানে নেই কোনও মন্দির কমিটি এমনকি নেই কমিটির নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্ট।তাহলে কি হতে পারে ভবিষ্যতে তাও স্পষ্ট করে দিলেন জাতীয় সড়কের নির্বাহী বাস্তুকার।না,কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।শনিবার মধুপুর এলাকার ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেছিলাম আমরা।
আরও পড়ুন – ভুতুড়ে বিল নিয়ে নাজেহাল কাঠমিস্ত্রি!
আজও আমাদের প্রতিনিধি পৌঁছে গিয়েছিল সেই এলাকায়।গতকাল রনকালির থানে পুজা অর্চনা চলার পর আজও রনকালি পুজিতা হচ্ছেন তার নিজস্ব থানে।এলাকার মানুষের বিশ্বাস রনকালির আদেশেই নিয়ম মেনে পুজার্চনা চলে এখানে।আজও ছিল না তার ব্যতিক্রম।তাহলে কি প্রশাসনিক উদ্যোগ বাধাপ্রাপ্ত হয়ে থমকে থাকবে কাজ।তৈরী হবে ভবিষ্যতের দূর্ঘটনাপ্রবন এলাকা নাকি সমস্যার সমাধানে হবে গতিশীল জাতীয় সড়ক বাইপাস রাস্তা, উত্তর দেবে আগামী দিন।