আরসিটিভি সংবাদ –রায়গঞ্জ শহরের উন্নয়নে পৌরসভা যে একাধিক কর্মসূচি গ্রহন করেছে তার একটি অন্যতম দৃষ্টান্ত হল সুপারমার্কেট বাজার। পৌরসভার উদ্যোগে এখানে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম ব্যবসায়ী এখানে বসছেন পসরা নিয়ে।
আরও পড়ুন – জটিল অস্ত্রোপচারে সাফল্য মালদা সরকারী হাসপাতালের
যদিও বড়সড় পরিসরে এখানে ব্যবসার ব্যবস্থাপনা রয়েছে। কিন্তু উপযুক্ত পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও অব্যবহৃত অবস্থায় পরে রয়েছে রায়গঞ্জ জনবহুল এলাকায় গড়ে ওঠা সুপার মার্কেট। নাম সুপার মার্কেট শুনে ব্যস্ততম বাজার মনে হলেও আদোতে তার বিপরীত চিত্র দেখা যায়। এখানে সবজি কিংবা মাছ বাজারে দেখা নেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের। সকাল সন্ধ্যে চাতক পাখি হয়েই বসে থাকেন গুটিকয়েক দোকানী। একদিকে যখন শহরের যানজট নিরসনে বিভিন্ন বাজার স্থানান্তরন করা হচ্ছে তখন সুষ্ঠ পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও রায়গঞ্জের সুপার মার্কেটে সেভাবে দোকান বসতে দেখা যায় না।
আরও পড়ুন – সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে চাকরিতে নিয়োগপত্র
প্রসঙ্গতঃ দীর্ঘবছর আগে রায়গঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে সুপার মার্কেট তৈরী হয়। পরে বছর কয়েক আগে এর পরিকাঠামোকে আরও বৃহত্তর পরিসরে উন্নীত করা হয়। সকাল সন্ধ্যে বাজার বসার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরী হয়েছে। কিন্তু তারপরেও এখানে শূন্যস্থান রয়েই গিয়েছে। তেমন ভাবে বিক্রেতা বা ক্রেতাদের আনাগোনা দেখা যায় না। কিন্তু কেন এমন অবস্থা? আমরা কথা বলেছিলাম বিক্রেতাদের সাথে। তারা বলেন, কেউ ২০ বা ১৫ বছর থেকে এখানে পসরা নিয়ে বসছেন। একটা সময় বেশ বিকিকিনি হলেও ধীরে ধীরে তা লোপ পায়। বর্তমানে শহরে বাজারের সংখ্যা বেড়েছে। বাড়ির কাছেই গড়ে উঠেছেন অনেক বাজার। সঙ্গে ভ্রাম্যমান মাছ-সবজির দোকান চালু হয়েছে। যার জেরে এই বাজারে ক্রেতা সাধারন না আসায় ধীরে ধীরে কমে গিয়েছে দোকানের সংখ্যা বর্তমানে মাত্র ১০-১২টি দোকান রয়েছে। তাও অনিয়মিত। এর ফলে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয় এই ব্যবসায়ীদের। বাধ্য হয়ে পাশাপাশি অন্য পেশায় যুক্ত হয়েছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন – নিশীথ প্রামানিকের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর
আমরা এ বিষয়ে কথা বলেছিলাম রায়গঞ্জের পৌর প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য সাধন বর্মনের সাথে। আরসিটিভি সংবাদের মুখোমুখি হয়ে সাধন বাবু বলেন, পৌরসভার উদ্যোগে নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে এই মার্কেট। গ্রীষ্ম-বর্ষা যেকোনো সময়ই এখানে নিরাপদে ব্যবসা করতে পারবেন বিক্রেতারা। সেক্ষেত্রে বিক্রেতাদের এই স্থানে বসার জন্য আহ্বান জানালেন সাধন বর্মন।পৌরসভার এই উদ্যোগের জেরে আশায় বুক বাঁধছেন সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। এখন কতদিনে সরগরম হয়ে ওঠে সবজি ও মাছ বাজার সেই অপেক্ষাতেই প্রহর গুনছেন এলাকার মানুষ।