আরসিটিভি সংবাদ :বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের শনিহারা গ্রামের বাসিন্দা অখিল বিশ্বাস। পেশায় কাঠমিস্ত্রি। নাম রয়েছে বি পি এল তালিকাতেও। ফলে আর পাঁচজন দু:স্থ পরিবারের মতো তারও বেশিরভাগ মাসে ৭৫ ইউনিটের কম বিল আসায় জিরো অ্যামাউন্ট বিল পান। তবে কিছু মাসের ক্ষেত্রে তার সামান্য বিল দিতে হয়। অথচ গত নভেম্বর থেকে জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পরপর দুটি ত্রৈমাসিক বিল এসেছে ৫২ হাজার ৩০০ টাকা করে।
আরও পড়ুন – শুরু হলো রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষা
যা রিবেট বাদ দিয়ে ৪৫ হাজার ৮০০ টাকা করে দিতে হবে। বিপুল অংকের ইলেকট্রিক বিল আসায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অখিল বিশ্বাস। তিনি জানান, আগের বিলের বিষয়টি নিয়ে বালুরঘাট বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানীর অফিসে আবেদন জানানোর পরও পরবর্তী তিন মাসের বিল আবারো ৫২ হাজার ৮০০ টাকা আসে। অর্থাৎ পরপর দুটি বিলে তার বিলের অ্যামাউন্ট দাঁড়িয়েছে প্রায় এক লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন – সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস ভুয়ো চিকিৎসকের কীর্তি !
তার অভিযোগ আবেদন জানানোর পরও কোন সুরাহা হয়নি। কাজকর্ম বাদ দিয়ে তাকে প্রায়ই বিদ্যুৎ বিভাগের অফিসে ঘোরাঘুরি করে হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে। কেন এমন ভুতুড়ে বিল পাঠানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বাড়িতে এসি, বড় টিভি বা আরও বিদ্যুতিক মেশিনপত্র চললে এতবড় অঙ্কের বিল আসা সম্ভব। কিন্তু যেখানে এসব কিছুই নেই তার সেখানে কি করে এত বিল উঠল তা নিয়ে তদন্তেরও দাবি তুলেছেন ওই কাঠমিস্ত্রি।
আরও পড়ুন – বালুরঘাটে বেহাল রাস্তার প্রতিবাদে সরব গ্রামবাসীরা
যদিও এ বিষয়ে বালুরঘাট বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানীর অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বজিৎ মন্ডল জানান, বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। ভুল থাকলে তা সংশোধন করা হবে।