নিউজ ডেস্ক , ৯ ডিসেম্বর : অঘ্রান মাস পরতেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়ের মরশুম। চারিদিকে বাজছে সানাইয়ের সুর। আর এই আবহে রায়গঞ্জ শহরের বীরনগরের সরকার বাড়িতে ছেলে বিয়ে উপলক্ষ্যে দেখা গেল এক অভিনব চিত্র। এই বাড়ির ছেলে প্রসেনজিৎ সরকারের বিয়ে আগামী ১৫ই ডিসেম্বর।
শহরে ফ্লাইওভার প্রকল্প এখন বিশবাঁও জলে
যাকে ঘিরে তোরজোড় চলছে বাড়িতে। এরই মধ্যে বিয়েবাড়ির কার্ডে এক অনন্য বৈচিত্র্য ধরা পরল। তারা আত্মীয় পরিজনদের বাড়িতে কার্ডের সাথে গল্পের বই বিতরণ করছেন। সত্যি! এমন দৃশ্য সচরাচর দেখা যায় না। কিন্তু হঠাৎ কেন এমন চিন্তা ভাবনা? পাত্র প্রসেনজিৎ জানান, বর্তমান ডিজিটাল যুগে আমরা সবাই মোবাইল ল্যাপটপে আসক্ত। বই পড়ার প্রবনতা এখন নেই বললেই চলে। কিন্তু একটা সময় বই ছিল অবসর সময় অতিবাহিত করার একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু আজ সেসব অতীত।
শহরে ফ্লাইওভার প্রকল্প এখন বিশবাঁও জলে
তাই পুরোনো দিনের সেই অনুভূতিকে জাগিয়ে তুলতেই এমন উদ্যোগ।প্রসেনজিতের মা স্বপ্না সরকারও এই অভিনব আয়োজন ঘিরে বেশ উৎসাহিত। তিনি জানান, বই পড়ার আগ্রহ এখন আর তেমন দেখা যায় না। বইয়ের সাথে মানুষের দুরত্ব তৈরী হয়ে গিয়েছে। তাই সাধারণ মানুষ যাতে আবার বইয়ের দিকে ঝুঁকে সেই বার্তা দিতেই এই চিন্তা ভাবনা। এতে আত্মীয় পরিজনদের থেকে যথেষ্ট সাড়া মিলছে বলে জানান স্বপ্না দেবী।প্রসেনজিতের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তার বন্ধুরা।
তার বন্ধু দেবার্ঘ্য কর জানান, এত সুন্দর ভাবনা কল্পনাতীত৷ তারাও বেশ খুশী। বইয়ের গুরুত্ব প্রাধান্য পেয়েছে বিয়ের কার্ডে। যা দেখে এমন পরিকল্পনা নেবেন অন্যরাও।আর মাত্র ৫ দিন। তার পরই চার হাত এক হবে। সরকার বাড়িতে বাজবে সানাই। সকলের শুভকামনায় রচিত হবে নতুন জীবন। আর বইয়ের মাধ্যমে তা স্মৃতিমেদুর হবে আত্মীয় পরিজনদের মনে।