নিউজ ডেস্ক , ০৮ ডিসেম্বর : ঘূর্নিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে তৈরী হয়েছিল নিম্নচাপ৷ আর তার জেরেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয় হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাতা। সেই বৃষ্টিই পাকা ধানে মই দিয়ে ফেলল। ফলে মাথায় হাত পরেছে চাষীদের। প্রসঙ্গতঃ অগ্রহায়ন মাসে ধান কেটে ঘরে তোলার কাজ শুরু হয়। এই সময় সাধারণত বৃষ্টির দেখা মেলে না৷
লোকসভা নির্বাচনের আগে নতুন ট্রেন পেল বালুরঘাট
কিন্তু এবছর বাধ সেধেছে বৃষ্টি। যার জেরে রায়গঞ্জ ব্লকের একাধিক কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন। প্রতিবছরই রায়গঞ্জ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে প্রচুর পরিমানে আমন ও তুলাইপাঞ্জি ধানের চাষ হয়। অধিকাংশ কৃষক এই সময় ধান কেটে মাঠেই মজুত করেছিলেন। আর তার মধ্যে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় কেটে রাখা ধান ভিজে যায় জলে। ক্ষেতের মধ্যেও জমে যায় জল। ফলে এই ধান বাজারজাত করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পরতে হবে চাষীদের। ধান চাষী রমণী রাজভর জানান, তিনি ৮ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলেন। ধান মাঠেই পরেছিল। এর মধ্যে বৃষ্টি চলে আসায় পুরো ধান নষ্ট হয়ে যায়। এই ভেজা ধানের দাম কমে যাবে। ফলে চরম ক্ষতির মুখে পরতে হবে। সরকারি সাহায্য চাইছেন তিনি।অপর এক কৃষক সুজিত দাস জানান, ৪ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন। ধান সঠিক সময়ে ঘরে তুলতে পারেনি। এর মধ্যে বৃষ্টিতে ক্ষতি হল অনেকটাই। ধান পাতানে পরিনত হবে।
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে এসএসকেএম থেকে নিয়ে যেতে হাজির ইডি
এবিষয়ে আমরা কথা বলেছিলাম উপ কৃষি অধিকর্তা ডঃ সাফিক উল আলমের সাথে। তিনি জানান, সাধারণত নভেম্বর মাসেই আমন ধানের হারভেস্টিং হয়ে যায়। এবারে আমনের মরশুম কিছুটা দেরীতে শুরু হওয়ায় অল্প সংখ্যক কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। পাশাপাশি তুলাইপাঞ্জি ধানেও কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারি ভাবে কৃষকদের ক্ষতিপূরন দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।