দীপাবলি উৎসবে এবছর বাজারচাঙ্গা মোমবাতির, করোনার কোপে টুনিলাইট

নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ০২ নভেম্বর :  আর কদিন বাদেই আলোর উৎসব দীপাবলি এবং কালীপুজো। অশুভ শক্তির বিনাশে যেমন চারিদিকে শুভশক্তির আরাধোনার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে তেমনই আলোর উৎসব দীপাবলি উপলক্ষ্যে চারদিকে চলছে তার প্রস্তুতিপর্ব। আলোর উৎসবের প্রধান অঙ্গ মোমবাতি এবং মাটির প্রদীপের বাজারে এবারে ব্রাত্য বিদেশি টুনিলাইট। কারণ করোনার কারণে বিদেশি পণ্য সামগ্রীর আমদানি বন্ধ থাকায় ও চিনের সঙ্গে সংঘাতের জেরে টুনি লাইটের ব্যবসায় এবার মন্দার ছায়া গ্রাস করেছে৷

দীপাবলি মানে আলোর উৎসব৷ আর যে আলোতে আলোকিত হয়ে ওঠে গৃহস্থের চৌহদ্দি। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত বাড়ির ছাদ থেকে শুরু করে ঘর বারান্দা সেজে ওঠে বর্ণময় আলোক মালায়। এই দীপাবলীর উৎসবে কোথাও জ্বলতে দেখা যায় মাটির প্রদীপ, কোথায় আবার মোমবাতি, আবার কোথাও টুনি লাইট। কিন্তু এই তিন ধরনের আলোর মধ্যে মাটির প্রদীপ এবং মোমবাতি মানুষের প্রকৃত আবেগ। যে আবেগ আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগেও দেখা যেত৷ কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন চিনা কোম্পানির টুনি লাইট দীপাবলি উৎসবের বাজার দখল করে নেওয়ার কারণে ও মোমবাতি এবং তেল দিয়ে মাটির প্রদীপ জ্বালানোর ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে মানুষ চিনা কোম্পানির বিভিন্ন টুনি লাইট গুলির ব্যবহার শুরু করেছিলেন কিন্তু এবছর করোনার কারণে ইতিমধ্যেই বিদেশি পণ্য আমদানি সেভাবে হচ্ছে না। তার ওপর লাদাখ ইস্যুতে চীনের সঙ্গে যে সংঘাতের আবহ চলছে তাতে ক্ষুব্ধ দেশের মানুষ৷ ফলে এবছর দীপাবলি উৎসবে বিদেশি পণ্য বয়কট করে মানুষ স্বদেশী পণ্য ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছেন বলে মোমবাতির চাহিদা গতবারের তুলনায় উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে গিয়েছে৷ বাজারে চাহিদা মতো মোমবাতির যোগান দিতে কারখানাগুলোতে ব্যাপকহারে উৎপাদন হচ্ছে। রায়গঞ্জের কলেজ পাড়া সহ বিভিন্ন এলাকার মোমবাতি তৈরির কারখানাগুলোতে গিয়ে দেখা গেল জোরকদমে মোমবাতি তৈরীর কাজ চলছে৷ দীর্ঘ দিন বাদে দীপাবলি উৎসব মোমবাতির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় মুখে কিছুটা হলেও হাসি দেখা যাচ্ছে কারখানার কর্তৃপক্ষের। কারণ টুনি লাইট দীপাবলীর উৎসবে থাবা বসানোর কারণে মোমবাতির ব্যবসা কার্যত শিকেয় উঠেছিল৷ বিগত কয়েক বছর ধরে লোকসানের মুখে পড়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা ৷ সে দিক থেকে দেখতে গেলে এবছর মোমবাতির ব্যবসা ভালোই হবে বলে আশায় বুক বাঁধছেন ব্যবসায়ীরা। তারা জানিয়েছেন গতবারের তুলনায় মোমবাতির চাহিদা এবছর বেশি রয়েছে। একদিকে করোনার কারণে বিদেশি পণ্য আমদানি বন্ধ আর অন্যদিকে চীনা পণ্য বয়কটের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে সচেতনতা৷ আর এই জোড়া প্রতিবন্ধকতায় ধরাশায়ী টুনিলাইট। সে কারণেই মোমবাতি এবারের দীপাবলি উৎসবের প্রধান অঙ্গ হয়ে উঠছে বহুদিন পর৷

Next Post

তামাক বিরোধী সচেতনতার বার্তা দিতে বিশেষ উদ্যোগ প্রশাসনের

Mon Nov 2 , 2020
নিজস্ব সংবাদদাতা , মানিকচক , ০২ নভেম্বর :   মানিকচক ব্লক প্রশাসন, স্বাস্থ্য দপ্তর ও থানার উদ্যোগে তামাক বিরোধী একটি সচেতনতামূলক মিছিল করা হল সোমবার। এদিন বেলা ১১ টায় মানিকচক থানা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে হাসপাতাল ও ব্লক অফিস সহ বিভিন্ন এলাকার পথ পরিক্রমা করে মানিকচক থানায় গিয়ে সমাপ্ত হয়। সার্বজনীন […]

আপনার পছন্দের সংবাদ

সংবাদ শিরোনাম