
নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ২৯ অক্টোবর : উৎসব প্রেমী বাঙালির মহোৎসব দুর্গাপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই চলে আসে ধনদেবী লক্ষীর পুজো। রাত পোহালেই ঘরে ঘরে পূজিতা হবেন ধন-সম্পদের দেবী মা লক্ষ্মী। আর তাই দেবীর আরাধনা ঘিরে পুজোর জোগাড় করতে বাঙালির ব্যস্ততা এখন রয়েছে তুঙ্গে। সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় অগ্নিমূল্য বাজার। চড়া বাজারদরে নাভিশ্বাস মধ্যবিত্ত বাঙালির।
পুজোর বাজার সাধারণ দিনের তুলনায় প্রত্যেক বারেই একটু বেশি চড়া থাকলেও এবছর প্রায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। কোভিড পরিস্থিতিতে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন প্রায় সকলেই। পাশাপশি টানা বৃষ্টির জেরে চাষের জমি জলের তলায় চলে যাওয়ায় প্রচুর ফসল নষ্ট হয়েছে। পুজো মরশুমে বাজারে সবজি ও ফলের দাম শুনে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ মধ্যবিত্তদের। বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ শহরের প্রায় প্রত্যেকটি বাজারে ফুল থেকে শুরু করে শাকসব্জী ও ফলের দাম অগ্নিমূল্য। পাশাপাশি ছোটো বড় সমস্ত মূর্তির দাম বেড়েছে গত বছরের তুলনায়। এদিন আলু কেজি প্রতি ৩৫-৩৭ টাকা দর, পটল ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, শাক আটি প্রতি ৮-১০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা কেজি, ফুলকপি ১২০ টাকা কেজি, বাধাকপি ৬০ টাকা কিলো, কাঁচা লঙ্কা ১২০ টাকা কেজি। সবজির পাশাপাশি ফলের দামও আকাশছোঁয়া। শশা ৪০ টাকা কিলো, মৌসম্বি ৯০ টাকা কিলো, আপেল ১২০ টাকা কিলো, কলা ২০ টাকা জোড়া। এছাড়াও ছোটো লক্ষী প্রতিমা ৪০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, আর বড় প্রতিমার দাম ২০০ টাকা বা তারও বেশী। দুর্গাপুজোর পর পকেটে টান পড়েছে আপামর বাঙালির। তবে তাতে কি? ধনদেবীকে সন্তুষ্ট করতে অগ্নিমূল্য বাজারেও নিজেদের সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সকলে।
