
চোপড়া, ৩ জুলাই : অবিরাম বর্ষণে কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চোপড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশকিছু এলাকা।ফলে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার শতাধিক গ্রামের বাসিন্দা। উল্লেখ্য গত বছরও এই সমস্যা তৈরি হলে ঘটনাস্থলে এসে কালভার্ট নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।
কিন্তু স্থায়ী কালভার্টের পরিবর্তে হিউম পাইপের সাহায্যে সিমেন্টের বস্তায় মাটি ভরে কোনো রকমে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়। ফলে এবছর ফের বৃষ্টির কারণে ভেঙ্গে পড়েছে কালভার্টটি। যেকারণে মূল সড়কপথের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে নারায়নপুর, কাচাকালি, মৃ্ধাবস্তী, দাসপাড়া সহ প্রায় শতাধিক গ্রামের বাসিন্দার। ফলে তাদের চোপড়ায় আসতে হলে প্রায় ১০কিলোমিটার ঘুরপথে আসতে হয় বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। মহম্মদ শাহ নামে এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, গত বছর এই রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়। সেসময় বিডিও সাহেবের পাশাপাশি জেলাশাসকও ঘটনাস্থলে এসেছিলেন। সাময়িককালীন হিসেবে একটি অস্থায়ী কালভার্ট তৈরি করে দেন। পুজোর পর এই এলাকায় সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বছর ঘুরতে চললেও কোন কাজ হয়নি। এই বছরও বৃষ্টিতে রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় বিপত্তিতে এলাকার বাসিন্দারা। অবিলম্বে এই কালভার্ট মেরামত করে রাস্তা সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। এই ঘটনায় স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য গুলেশা খাতুনের প্রতিনিধি মহম্মদ গফুর জানিয়েছেন, এই রাস্তাটি গতবছরও বৃষ্টিতে ভেঙ্গে গিয়েছিল। রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে বিডিও, মহকুমাশাসক, জেলাশাসকের পাশাপাশি জেলা পরিষদে আবেদন করা হয়। প্রশাসনের আধিকারিকেরা বারংবার রাস্তা পরিদর্শনে এলেও কোন কাজ হয়নি। ফলে গ্রামের বাসিন্দাদের যেকোন কাজে চোপড়া যেতে হলে কয়েক কিলোমিটার ঘুরপথে যেতে হয়। এমনকী কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ার নদীভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে চাবাগান সহ কৃষিজমি। এরফলে বিপর্যস্ত এলাকার শতাধিক গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা। রাস্তা সংস্কার না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দিয়েছেন এলাকার ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।
আরও খবর পড়ুন : ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত নদী তীরবর্তী রাস্তা, সংস্কারের দাবী গ্রামবাসীদের
