আলিপুরদুয়ার, ১৬ মেঃ আলিপুরদুয়ার থেকে সাংসদ অফিস তুলে নিল সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জলঘোলা। বিধানসভা ভোটের পর পরই আলিপুরদুয়ার চৌপথী সংলগ্ন এলাকায় সাংসদ কার্যালয় উদ্বোধন হয়েছিল। বর্তমানে সেই অফিস আর নেই। বিজেপি সূত্রে জানা গেছে যে ভাড়া বাড়িতে সাংসদ অফিস খোলা হয়েছিল, গত মাসে তার ভাড়া মিটিয়ে বাড়িটি ছেড়ে দিয়েছেন সাংসদ। এই ইস্যুতে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
রাজ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনের পর নিজের সাংসদ এলাকার কাজ তদারকির জন্য আলিপুরদুয়ারের চৌপথী সংলগ্ন এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে অফিস তৈরি করেছিলেন স্থানীয় সাংসদ জন বারলা। পরবর্তীতে তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে খুব একটা নিজের কেন্দ্রে জন বারলাকে দেখা যায়নি বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ফালাকাটা থানায় জন বারলার নামে একটি মিসিং ডায়েরিও করা হয়েছিল যুব তৃণমূলের তরফে। এবার নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল আলিপুরদুয়ার থেকে সাংসদের কার্যালয় তুলে নেওয়ার ঘটনা। জানাগেছে, গত মাসেই ভাড়া মিটিয়ে বাড়িটি ছেড়ে দিয়েছেন সাংসদ। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি ভূষন মোদক বলেন, ভাড়াবাড়ি থেকে সাংসদ অফিস উনি তুলে নিয়েছেন দলীয় কর্মীদের পরামর্শেই। এখন থেকে তিনি জেলা পার্টি অফিসে বসে নাগরিক পরিষেবার কাজ করবেন। সাংসদ এখন শুধু সাংসদ নেই। তিনি এখন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন রাজ্যে ছুটতে হয় তাকে দফতরের কাজে। তাই হুব একটা সময় দিতে পারেন না আলিপুরদুয়ারে। ফলে ওই ভাড়া বাড়িতে যত টাকা দিতে হয় তা পার্টির ফান্ডে দিলে সেই অর্থে অনেক কাজ করা যাবে। এখন থেকে জেলা পার্টি অফিসে বসেই কাজ করবেন সাংসদ। বিজেপি জেলা অফিস-ই এখন সাংসদের অফিস।
যদিও বিষয়টিকে নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এ বিষয়ে তৃনমূলের আলিপুরদুয়ার চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী স্পষ্টত অভিযোগ করেন, আমরা প্রতিটি মিটিং এ বলি সাংসদ এর দেখা নাইরে সাংসদের দেখা নাই। আর এখন সাংসদ নিজের অফিসটাও তুলে নিল নিজের সাংসদ এলাকা থেকে। এখন এর ফল ভুগতে হবে আলিপুরদুয়ারের মানুষকে।