নিউজ ডেস্ক , বালুরঘাট ৯ সেপ্টেম্বর : বালুরঘাটে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পার্টি অফিস উদ্বোধনে অন্তর্কলহের ছায়া। জেলা কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেন না জেলা সভাপতি গৌতম দাস।
উল্লেখ্য তৃণমূল কংগ্রেস তৈরির সময় থেকেই দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল কংগ্রেসের কোন জেলা কার্যালয় ছিলনা। দীর্ঘদিন ধরেই জেলার গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা বিপ্লব মিত্র তৃণমূল জেলা সভাপতি থাকাকালীন তার বাড়ি থেকে এবং গঙ্গারামপুরের একটি ক্লাব থেকে দল পরিচালনা করতেন। পরবর্তীতে শংকর চক্রবর্তী এবং অর্পিতা ঘোষ জেলা সভাপতি হয়েছিলেন। তাদের বালুরঘাটে একটি করে অফিস থাকলেও জেলা সদর বালুরঘাটে কোন জেলা কার্যালয় তৈরি হয়নি। বর্তমানে জেলার নতুন সভাপতি হয়েছেন গঙ্গারামপুর এর বিধায়ক গৌতম দাস।
জানা গিয়েছে, বালুরঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক তথা বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা চেয়ারম্যান শংকর চক্রবর্তীর উদ্যোগে সম্প্রতি বালুরঘাটে জেলা কার্যালয় তৈরি হয় একটি ভাড়া বাড়িতে। মঙ্গলবার বালুরঘাটের কাঁঠাল পাড়া এলাকায় দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল কংগ্রেস জেলা কার্যালয়ের উদ্বোধন হয়েছে। কিন্তু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলার কুমারগঞ্জের বিধায়ক তোরাফ হোসেন মন্ডল, তপনের বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা, জেলা কো-অর্ডিনেটর ললিতা টিগ্গা, সুভাষ চাকী সহ বিভিন্ন ব্লকের নেতারা উপস্থিত থাকলেও, উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূল জেলা সভাপতি গৌতম দাস।
স্বাভাবিকভাবেই, দলের জেলা কার্যালয় উদ্বোধনে জেলা সভাপতি না থাকায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে কর্মী সমর্থক থেকে সাধারন মানুষের মধ্যে। রাজনৈতিক মহলের অনুমান এতে করে দলের অন্তর্কলহ সামনে চলে এলো।
তৃণমূল জেলা চেয়ারম্যান শংকর চক্রবর্তী জানান, দীর্ঘদিন ধরেই জেলায় দলের কোন জেলা কার্যালয় ছিল না। কর্মী-সমর্থকেরা জেলা সদর বালুরঘাটে জেলা কার্যালয় তৈরির দাবী জানিয়েছিলো।
সে মত, মঙ্গলবার বালুরঘাটে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়। অপরদিকে তৃণমূল জেলা সভাপতি গৌতম দাস জানান, অন্তর্কলহ বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোন বিষয় নেই। ঐদিন রাজ্যজুড়ে বিধানসভার বিধায়কদের কিছু কর্মসূচী ছিল। নিজের বিধানসভা এলাকার তপনে এবং গঙ্গারামপুরে সেই কর্মসূচিতে আটকে পড়ায় জেলা কার্যালয় উদ্বোধনে যেতে পারিনি।
আরও পড়ুন – অনুপ্রবেশের দায়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার বাংলাদেশী যুবক