নিউজ ডেস্ক, গঙ্গারামপুর, ২৬ সেপ্টেম্বর : একটা সময় খটখট আওয়াজে মুখরিত হয়ে থাকত দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের ঠ্যাঙ্গাপাড়া, মহারাজপুর সহ অন্যান্য তাঁতিপাড়া গুলি। আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে দিনভর মেশিনে তাঁতের কাপড় বোনানোর কাজে ব্যস্ত থাকতেন তাঁত শিল্পীরা। জেলার বিখ্যাত তাঁতের কাপড় পৌঁছে যেত পার্শ্ববর্তী জেলা সহ ভিন রাজ্য গুলিতেও।
ফলে হাঁড়ভাঙ্গা খাটুনি করে কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখতে পারতেন তাঁরা। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ থেকে জেলাতে তাঁতের শাড়ি আমদানি হওয়ায় ব্যবসা মার খেয়েছে তাঁদের। কিন্তু তা সত্ত্বেও হাল ছাড়েন নি তাঁরা। বাংলাদেশের তাঁতের কাপড়কে গুণগতমানে টেক্কা দিতে ও দেশীয় তাঁতের শাড়ির সুনাম বজায় রাখতে নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁত শিল্পীরা। কিন্তু তাঁদের এই অক্লান্ত পরিশ্রমের মাঝেও ব্যবসার উন্নয়নে বাধ সেধেছে করোনা অতিমারী। একে তো বাংলাদেশের তাঁতের মনমাতানো রকমারি শাড়ি বাজার ছেঁয়েছে তার ওপর করোনা আবহে ব্যবসা প্রায় বন্ধের মুখে। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন জেলার কয়েক হাজার তাঁত শিল্পী। তাঁদের বক্তব্য পুজোর এই সময়টায় নাওয়া খাওয়ার সময় পেতেন না তাঁরা।
তবে এবছর করোনা মহামারীর জেরে মন্দার ছায়া গ্রাস করেছে ব্যবসায়৷ শাড়ি বিক্রি নেই। বন্ধ অধিকাংশ তাঁত কারখানা। এই পরিস্থিতিতে বিকল্প উপার্জনের পথ বেছে নিতে চাইছেন তাঁরা। তাঁত শিল্পীদের দাবি, এই পুরনো শিল্প বাঁচাতে হলে বাংলাদশের শাড়ি আমদানি বন্ধ করতে হবে৷ পাশাপাশি তাঁত শিল্পের উন্নয়নে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। তবেই দেশীয় তাঁতের কাপড়ের কদর ও চাহিদা দুটোই বাড়বে।