নিউজ ডেস্ক , ০৮ নভেম্বর : চাকরি দূর্নীতি, রেশন দূর্নীতি, স্কলারশিপ দূর্নীতির পরে এবারে সেই তালিকায় উঠে এল শিল্পী ভাতার নাম। এবারে শিল্পী ভাতা প্রকল্পে বড়সড় দালাল চক্রের হদিশ উত্তর দিনাজপুরে। ঘটনাস্থল জেলার চাকুলিয়া। দালাল চক্রের কমিশন বন্ধ হয়ে যাওয়া বঞ্চনার শিকার একাধিক শিল্পী। বুধবার চাকুলিয়ার বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী শিল্পী জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন।
রায়গঞ্জের কর্নজোড়ায় অবস্থিত জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরে তারা এবিষয়ে জানতে চান। উপভোক্তাদের দাবী, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের আধিকারিক তাদের জানিয়েছে তাদের অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসেই টাকা ঢুকেছে। তাহলে তারা কেন টাকা হাতে পাচ্ছেননা। এর জন্য আধিকারিক তাদের ব্যাঙ্কের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। উপভোক্তাদের অনুমান, তাদের অজান্তে কোনো গ্যাঁড়াকল করে কেউ টাকা তুলে নিচ্ছে। এর জেরে রীতিমতন হতাশ তারা। শিল্পীরা বলছেন, প্রায় ৬০ জন শিল্পী সরকারি এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। তাদের আরও অভিযোগ, শুরুতে চাকুলিয়ার গোদাশোলের বাসিন্দা জনৈক আব্দুল খালেক তাদের কাছ থেকে ভাতা করিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ১০ হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয় প্রতিমাসে ৩০০ টাকা করে কমিশন চ্যুক্তি হয়।আড়াই মাস ধরে উপভোক্তারা কমিশন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। আর তার প্রভাবে তারা টাকা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। এবিষয়ে তারা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।
শুভেচ্ছা বিনিময়ে দুই সাংবিধানিক প্রধানের হাসিতে কিসের ইঙ্গিত!
এই ঘটনার খবর চাউর হতেই শোরগোল পরে গিয়েছে এলাকায়। আমরা এবিষয়ে কথা বলেছিলাম উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সাথে। তিনি জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।এখন প্রশাসন এক্ষেত্রে কি ব্যবস্থা গ্রহন করে সেটাই দেখার।