নিউজ ডেস্ক, ২২ই জানুয়ারি :পর্যাপ্ত চিকিৎসকের অভাবে ধু্ঁকছে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের SNCU অর্থাৎ Special Newborn Care Unit। যাকে ঘিরে তৈরী হয়েছে উদ্বেগ। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হাসপাতালের SNCU তে মোট চিকিৎসকের সংখ্যা ছিল ৭ জন। যাদের মধ্যে ৪ জন চিকিৎসক উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়ে চলে গিয়েছেন। বাকী ৩ জনের মধ্য ছুটিতে রয়েছেন একজন। ফলে এখন এই বিভাগের ইনচার্জ ডাঃ নীলাঞ্জন মুখার্জি ও আরেক জন চিকিৎসক পরিষেবা দিয়ে চলেছেন। ফলে তলানিতে ঠেকেছে পরিষেবা। এদিকে শীতের মরশুমে শ্বাসকষ্ট, জ্বর সহ একাধিক রোগে আক্রান্ত নবজাতক শিশু ভর্তি হচ্ছে এই হাসপাতালে। উত্তর দিনাজপুর সহ সংলগ্ন দঃ দিনাজপুর ও বিহারের একাংশের মানুষজন এই হাসপাতালের উপরে নির্ভর করে থাকেন। ফলে ক্রমশই চাপ বাড়ছে। এদিকে নবজাতক শিশু ভর্তির সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি অন্যদিকে পর্যাপ্ত চিকিৎসকের অভাবে সুস্থাতার তেমন কোনো লক্ষন নেই বলেই পরিবারের লোকজনদের দাবী। পাশাপাশি একসপ্তাহে বেশ কিছু শিশুর মৃত্যুও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছেন চিকিৎসাধীন নবজাতক শিশুদের পরিবার পরিজনেরা। লাভলি খাতুন নামের এক প্রসূতী বুধবার রাতে যমজ সন্তান প্রসব করেন। ২ জনই অসুস্থ ছিল। বৃহঃবার রাতে এক সন্তানের মৃত্যু হয়। কিভাবে মৃত্যু হল চিকিৎসকের দেখা না পাওয়ায় এখনও জানতে পারেননি বলে দাবী লাভলি দেবীর।অন্যাদিকে, রাধিকাপুরের বাসিন্দা নরেশ বর্মনের ২ টির মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে SNCU তে। এই জরুরি বিভাগে ৭ দিন চিকিৎসার পর কিভাবে বাচ্চার মৃত্যু হল তা বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। চিকিৎসকের অভাব নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।এ বিষয়ে আমরা কথা বলেছিলাম এই ওয়ার্ডের ইনচার্জ ডাঃ নীলাঞ্জন মুখার্জির সাথে। চিকিৎসক সমস্যার জেরে পরিষেবা ব্যহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। তিনি বলেন ২ জন মাত্র চিকিৎসক পরিষেবা দিচ্ছেন ফলে মাঝে মধ্যে পেডিয়াট্রিকের হাউজ স্টাফদের নিয়োগ করা হচ্ছে ট্রেনিং দিয়ে। এবিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আপনার পছন্দের সংবাদ
-
3 years ago
গাড়ি রয়েছে বাড়িতেই, কিন্তু কেটে নেওয়া হল টোল