নিজস্ব সংবাদদাতা: কেরলের তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দর আদানি গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে চরম আপত্তির কথা জানাল কেরল সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,এই সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে রাজ্যের পক্ষ থেকে কোনওরকম সাহায্য করা সম্ভব হবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এব্যাপারে চিঠি দিয়েও পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট বিমানবন্দর হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত পুনরায় বিবেচনা করার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।
আমেদাবাদ, লখনউ ও ম্যাঙ্গালুরু বিমানবন্দরের পর এবার কেন্দ্র চায় গুয়াহাটি, জয়পুর ও তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দর যাক কোনো বেসরকারি হাতে। প্রধানমন্ত্রীর স্নেহধন্য গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি গোষ্ঠীর হাতে বিমানবন্দরের লিজ দেওয়ায় ঘটনায় ইতিমধ্যেই জলঘোলা শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানান, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কাজে তারা সহযোগিতা করতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার অনুরোধ এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন, যাতে সিদ্ধান্তটি পুনরায় খতিয়ে দেখা হয়।
চিঠিতে আরও উল্লেখ আছে যে, ২০০০ সালে রাজ্য সরকার বিনামূল্যে বিমানবন্দরের জন্য জমি দিয়েছিল। ওই সময় কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান মন্ত্রকের তরফে আশ্বস্ত করা হয়েছিল, বিমান বন্দরটি বেসরকারিকরণ হলে রাজ্যের বক্তব্যও শোনা হবে। এক্ষেত্রে যা লঙ্ঘিত হয়েছে। বারংবার আপত্তি জানানো সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার কোনও গুরুত্বই দিচ্ছে না।তাই রাজ্যবাসীর বিরুদ্ধে গিয়ে কেন্দ্রকে কোনওরূপ সহযোগিতা করা সম্ভবপর নয়। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখাও করেন পিনারাই বিজয়ন। কেরল সরকার এ বিষয়ে হাইকোর্টে ও সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছে। তবে সরকারি সূত্রের ব্যাখ্যা, আদালতের স্থগিতাদেশ না থাকায় সিদ্ধান্ত নিতে বাধা নেই। কিন্তু বিজয়ন ফের চিঠি লিখেছেন মোদিকে। মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই বিমানবন্দরের জমি নিখরচায় দিয়েছিল রাজ্য সরকার।