নিউজ ডেস্ক , ২০ নভেম্বর : ছট পুজো শেষ হতেই ফের উৎসবের আবহে মাতল রায়গঞ্জ শহরের মানুষ। রীতি মেনে অনুষ্ঠিত হল উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী হিসেবে পরিচিত রায়গঞ্জের গোষ্ঠ উৎসব। এবার এই উৎসব ৯৭ তম বর্ষে পদার্পণ করল। গোষ্ঠ উৎসব দেখতে হাজার হাজার দর্শনার্থী রায়গঞ্জ শহরের রাজপথের দুধারে ভিড় জমিয়েছিলেন। জানা যায়, ৯৭ বছর আগে রায়গঞ্জের বন্দর এলাকায় প্রথম গোষ্ঠ উৎসবের সূচনা করেছিলেন গোপাল চন্দ্র মন্ডল।
তারপর থেকে ধারাবাহিক ভাবে এই অনুষ্ঠান চলছে। যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে গোষ্ঠ উৎসবের। সেই একই ধারা বজায় রেখে সোমবার সকালে রায়গঞ্জের বন্দর এলাকার গোপাল বান্ধব পাঠশালা থেকে শুরু হয় গোষ্ঠ উৎসবের শোভাযাত্রা। এই শোবাযাত্রায় গোপ-গোপিনী, সখা-সখী সহ রাধাকৃষ্ণের যুগল, ও শ্রীকৃষ্ণের বাল্যলীলার নানান দিক প্রদর্শন করে এলাকার খুদেরা। সুদৃশ্য ট্যাবলো সহযোগে রায়গঞ্জ শহরের রাজপথ ধরে এগিয়ে যায় এই ধর্মীয় মিছিল। বিগত বছরগুলিতে শোভাযাত্রায় গোমাতা নিয়ে অংশগ্রহন করতেন স্থানীয় পূন্যার্থীরা। থাকতো হাতি কিংবা ঘোড়াও। কিন্তু গত বছর রায়গঞ্জ শহরে অনুষ্ঠিত দুর্গা কানিভালে গবাদি পশুর দ্বারা ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যায়। যার ফলে সতর্কতা অবলম্বন করে গত বছর থেকে গোষ্ঠ যাত্রায় পশু নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। যার জেরে এবারেও গোষ্ঠ উৎসবে গরু ছাড়াই অংশ নেয় রাখাল বালকের দল। এই শোভাযাত্রায় পা মেলান রায়গঞ্জের উপ পৌরপ্রশাসক অরিন্দম সরকার, গোষ্ঠ উৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক ভোলা সাহা, ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর চৈতালী ঘোষ সাহা সহ অন্যান্যরা। ভোলা সাহা জানান, এবারে ৯৭ তম গোষ্ঠ লীলা উৎসবে মেতে উঠেছেন ধর্মপ্রাণ সকল মানুষ। ভগবান শ্রীকৃষ্ণে নানান রুপে সেজে অংশ নিয়েছে ছোটরা। এই উৎসব উপলক্ষ্যে ৭দিন ব্যাপী চলবে অনুষ্ঠান। যেখানে গম্ভীরা গান, যাত্রাপালা, সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করবেন শিল্পীরা।অপরদিকে ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর চৈতালী ঘোষ সাহা জানান, প্রতিবছরই বন্দর এলাকায় ধূমধামের সাথে গোষ্ঠ পালিত হয়। বহু ভক্তের সমাগম হয়। মানুষজন ধর্মীয় ভাবাবেগে নিমজ্জিত হন।এই গোষ্ঠ যাত্রা শিলিগুড়ি মোর পর্যন্ত গিয়ে ফের বন্দরে ঘুরে এসে শেষ হয়।