
নিউজ ডেস্ক, ২৩ জুন : টীকাকরণ নিয়ে জালিয়াতির শিকার হলেন খোদ সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। বুধবার সকালেই কসবা এলাকা থেকে ভুয়ো IAS পরিচয় দেওয়া এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কলকাতা কর্পোরেশনের নাম করে বিনামূল্যে করোনা টিকাকরণের জন্য ক্যাম্প খুলে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার জন্য গ্রেফতার হলেন উদ্যোক্তারা।
এই কেন্দ্রে এসে টিকা নিয়েছিলেন অভিনেত্রী তথা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী-ও। তিনিও প্রথমে কিছু বুঝতে পারেননি। পরে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেন। তাঁরই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যক্তিদের।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মিমি চক্রবর্তীকে। তৃতীয় লিঙ্গের কিছু মানুষ, রূপান্তরকামী, বিশেষভাবে সক্ষম কিছু মানুষ ও দুঃস্থদের ভ্যাকসিনেশনের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে। ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভে উপস্থিত হয়ে নিজেও ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন মিমি। কিন্তু তারপরেই শুরু হয় সমস্যা।
দেবাঞ্জন দেব নামে এক ব্যক্তি নিজেকে আইএএস বলে পরিচয় দিয়ে এই টিকাকরণ করান। টিকাকরণ কেন্দ্রে মিমিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এই ব্যক্তি। মিমি জানিয়েছেন, তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। জানানো হয় জয়েন্ট কমিশনার অফ কেএমসির উদ্যোগে টিকাকরণ হচ্ছে।
এই বিষয়ে মিমি চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “গোটা বিষয়টা প্রোমোট করতে আমি পৌঁছেছিলাম, ওখানে নিজেও ভ্যাকসিন নিই। কিন্তু তারপর থেকেই ফোনে কোনও মেসেজ না আসায় আমার খটকা লাগে। সার্টিফিকেট চাইলেও ওরা জানায় বাড়িতে পৌঁছে যাবে কিন্তু আসেনি। পরে অফিসের লোক গিয়ে খোঁজ করায় বলে তিন চারদিন সময় লাগবে। এরপরই বুঝি নিশ্চয় বিষয়টার মধ্যে অন্য কোনও ব্যাপার আছে।”
এরপর তিনি নিজে ওই ক্যাম্প থেকে টিকা নেওয়া অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান তাঁরাও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন। তারপরই প্রশাসনিক স্তরে যোগাযোগ করেন সাংসদ।
মঙ্গলবারও দেবাঞ্জনকে গ্রেফতারের আগে পর্যন্ত এই ক্যাম্প থেকে টিকা নেন ২৫০ জন। জানা যায়, অনুমতি ছাড়াই চলছিল এই ক্যাম্প। পাকড়াও করা হয়েছে দেবাঞ্জনকে। তাঁর থেকে উদ্ধার হয়েছে জাল আই কার্ড। এমনকি তাতে কলকাতা পুর কমিশনার বিনোদ কুমারের সই জাল করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। তাঁর থেকে মেলে নীল বাতি যুক্ত গাড়িও। কোথা থেকে এল এত টিকা? কীভাবেই বা পুরসভার লোগো ব্যবহার করা হল? আদৌ কি আসল টিকা? এই ক্যাম্পের উদ্যোক্তা কারা? উঠছে একাধিক প্রশ্ন। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।
