নিউজ ডেস্ক , ১৩ অক্টোবর : আর কয়েকদিনের অপেক্ষা তারপরেই মা আসছেন মর্ত্যে। তবে করোনা মহামারির জেরে এবছর তেমন উন্মাদনা নেই পুজো ঘিরে। প্রত্যেকবার দুর্গাপুজো ঘিরে পুজো কমিটি গুলির যে ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যায়, এবছর তা অনেকটাই কম। বিভিন্ন ক্লাব গুলো এবছর অনেক কম বাজেটে পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অনেক পাড়াতেই প্যান্ডেল পুরোপুরি তৈরিই হয়নি।
উদ্দেশ্য কেবল ধারাবাহিক পুজোর পরম্পরাকে ধরে রাখা। অধিকাংশ পুজো উদ্যোক্তাই এবার জোর দিচ্ছেন কেবলমাত্র সব নিময় রীতি মেনে পুজো করায়।
অন্যান্য বছর দুর্গাপুজোর দ্বিতীয়া এবং তৃতীয়া থেকেই পুজো উদ্বোধন শুরু হয়ে যায়। এমনকি বেশ কিছু পুজো মন্ডপের উদ্বোধন করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।
তবে এবছর করোনা মহামারির জেরে সেই নিয়মে খানিকটা বদল এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সশরীরে উপস্থিত না থেকে ভার্চুয়ালি নবান্ন থেকে পুজো উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
করোনা আবহে ভিড় এড়াতে কোনও ভিআইপি-কে দিয়ে পুজোর উদ্বোধন না করানোর জন্যে বিভিন্ন পুজো কমিটি গুলোকে অনুরোধ করেছেন ৷ নবান্ন সুত্রের খবর, এবছর মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি সমস্ত পুজোর উদ্বোধন করবেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সাজিয়ে দেন কবে কোথায় ও কিভাবে হবে ওপেনিং।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ১৫ অক্টোবর তিনি উত্তর কলকাতার সমস্ত পুজোর উদ্বোধন করবেন জুম এর মাধ্যমে। প্যান্ডেলের সামনে প্রদীপ হাতে মেয়েরা থাকবেন। তিনি থাকবেন নবান্নে। তাঁর হাতেও থাকবে প্রদীপ। তিনি ওখান থেকেই পুজোর ওপেনিং করবেন। এরপর ১৬ তারিখ বেহালা ও যাদবপুরের পুজো এবং ১৭ তারিখ দক্ষিণ কলকাতার পুজোগুলি ভার্চুয়াল ওপেনিং করবেন ঠিক একই পদ্ধতিতে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন উদ্বোধনের সময়ও ঠিক করে দেন। পুজো উদ্বোধনের জন্যে বিকেল ৫টার সময় বেছে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজো কমিটিগুলি মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে তাদের পুজো মন্ডপ উদ্বোধনের জন্যে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে মেল করে আবেদন করা শুরু দিয়েছেন।