
নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ২৪ মে : উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জ। রায়গঞ্জ থেকে বিহারের বারসই দূরত্ব মাত্র ২৫ কিলোমিটার। বিহারের বারসই এর ব্যাবসা বানিজ্য রায়গঞ্জের উপর নির্ভশীল।
রায়গঞ্জের নাগর এবং বিহারের বলরামপুরের মহনন্দা নদীর জন্য বারসই এর মানুষকে ডালখোলা হয়ে ঘুরপথে রায়গঞ্জে আসতে হয়।নইলে বারসই রাধিকাপুর ট্রেনের উপর দুই এলকার মানুষকে নির্ভর করতে হয়। রায়গঞ্জের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি রায়গঞ্জ বারসই সড়ক পথ চালু করা। ১৯৯৫ সাল থেকে রায়গঞ্জ বারসই সড়ক পথের দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আন্দোলন করছে। নির্বাচন এলেই এই ইস্যুকে সামনে আনা হয়। বিহারের সঙ্গে রায়গঞ্জের সড়ক পথে যোগাযোগ করতে করতে বিহারে মহানন্দা নদীর উপর একটি সেতুর প্রয়োজন ছিল। বিহার সরকার সেই সেতু নির্মান ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার রায়গঞ্জ থেকে বাহিন পর্যন্ত রাস্তার কাজ শুরু করেছে। নাগর নদীর উপর সেতুর না হওয়ার কারন যে উদ্দেশ্যে মহানন্দা নদীর উপর সেতু,রায়গঞ্জ থেকে বাহিন পর্যন্ত রাস্তা তা কার্যকরি হচ্ছে না। ২০১৫ সালে নাগর নদীর উপর সেতুর নির্মানের জন্য বিহার সরকারের কাছে ছাড়পত্র চেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বিহারের বলরামপুরের বিধায়ক মেহেবুব আলম দ্রুত সেই ছাড়পত্র উত্তর দিনাজপুর জেলা শাসকের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হাতে তুলে দিয়েছে। ছাড়পত্র তুলে দেবার পরও ছয় বছর অতিক্রান্ত হতে চললেও সেঁতুর কাজ আজও শুরু হয় নি। এবারের বিধানসভা নির্বাচন প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল রায়গঞ্জ বারসই সড়ক পথ চালু করা দাবিকে ইস্যু করেছিল। নির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছে বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যানী। মানুষকে দেওয়া আশ্বাসকে বাস্তবায়িত করতে সোমবার দুই বিধায়ক এলাকা সরোজমিনে পরিদর্শন করলেন। বলরামপুরের বিধায়ক মেহেবুব আলম জানান, রায়গঞ্জ বারসই এর মাতৃভূমি। দীর্ঘদিন যাবদ বারসই মানুষ রায়গঞ্জের উপর নির্ভরশীল হয়ে আসছেন। সামজিক অবস্থার উন্নতি ঘটলেও বারসই সংলগ্ন এলাকা গোরাহার,বিশাহার সহ বিভিন্ন এলাকার অবহেলিত থেকে গেছে। বারসই রায়গঞ্জ সড়ক পথ নির্মান হলে এই সমস্ত এলাকার উন্নতি ঘটবে।মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে বারসইয়ের মানুষ রায়গঞ্জে পৌছে যাবেন।এক দিকে যেমন সময় কম লাগবে তেমনি পন্য পরিবহনের খরচ কম পড়বে। রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী জানান, রায়গঞ্জ বারসই সড়ক পথ চালুর প্রধান অন্তরায় নাগর নদীর উপর সেতু।এই সেতু নির্মানে কি কি অন্তরায় তা জানতেই বিহারের বলরামপুরের বিধায়কের সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা দ্রুত এই সেতু নির্মানে তিনি উদ্যোগ গ্রহন করার আশ্বাস দিয়েছেন।
