নিউজ ডেস্ক , ডালখোলা ১৮ সেপ্টেম্বর : আর মাসখানেক পরেই শারদোৎসবে মেতে উঠবে আপামার বাঙালি। কিন্তু শারদ আনন্দের মাঝেই বিষাদের আবহ রেল কামরায় নানা জিনিস ফেরী করা হকারদের।ডালখোলা পুর এলাকার ৯, ১০ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস প্রায় ১৫০জন হকারের।
এদের মধ্যে কেউ ২৫ বছর, আবার কেউবা ৫০বছর ধরে রেলের কামরায় ঝালমুড়ি, চা কিংবা অন্যান্য জিনিস ফেরী করে আসছে।কিন্তু করোনা সংক্রমণে বন্ধ ট্রেন চলাচল। ফলে রুজী রোজগার হারিয়ে আতান্তরে পড়েছেন হকারেরা।সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।অনেকেই বিকল্প পেশায় জুড়ে গিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।সংসার চালাতে দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে দিন কাটাচ্ছে হকাররা।
ফলে আসন্ন দুর্গোৎসব তাদের কাছে হয়ে উঠেছে বিভীষিকা।পৌর এলাকার নয় নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বৃদ্ধ গণেশ দাস জানান, প্রায় ৫০ বছর ধরে ট্রেনে ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালিয়ে আসছে। এর আগে গাইসাল দুর্ঘটনা এবং সাম্প্রতিক বন্যায় রেলের সেতু ভেঙে যাওয়ার ফলে বেশ কিছু দিন ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।কিন্তু এমন ঘটনা এই প্রথম।অন্যদিকে কাজ হারিয়ে পুজোয় ছেলে-মেয়েদের কিভাবে নতুন জামা-কাপড় কিনে দেবেন তা ভেবে পাচ্ছেন ফরসরার বাসিন্দা ঝালমুড়ি বিক্রেতা মনোজ মাহাতো।
যদিও স্ত্রী পরিচারিকার কাজ করায় কোনমতে সংসার চলছে তাদের।কবে এই সংকটের নিরসন হবে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রেলওয়ে হকারেরা। দুবেলা খাওয়ার জোগাড় করাটাই যেখানে বড়ো চ্যালেঞ্জ বর্তমানের সংকটকালীন সময়ে, তখন শারদোৎসবের আনন্দ অনেকটাই ফ্যাকাশে, জৌলুসহীন।