প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে চলছে জলাশয় ভরাটের কাজ, ঘটনায় অভিযোগ শাসকদলের এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে চলছে জলাশয় ভরাটের কাজ, ঘটনায় অভিযোগ শাসকদলের এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

নিজস্ব সংবাদদাতা , মালদা , ১২ ডিসেম্বর : মালদা শহরের মধ্যবর্তী স্থানে রয়েছে চাত্রা বিল।সেই বিলে মাছ চাষ করে ও তা বিক্রি করে রুটিরুজি চলে কয়েকশো স্থানীয় মৎস্যজীবীদের।কিন্তু ধীরে ধীরে ভরাট করে দেওয়া হচ্ছে বিল।এমনকী প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়েই শহরের ইংরেজবাজার পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণপার্ক,নেতাজী কলোনি সহ বিভিন্ন এলাকায় ভরাট করা হচ্ছে জলাশয়।

কিন্ত এর ফলে মৎস্যচাষীদের পাশাপাশি সমস্যায় পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।অন্যদিকে জলাশয় ভরাট করার কারণে সমস্যায় পড়েছে তিন নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণপল্লি, মালঞ্চপল্লী, কৃষ্ণপার্ক, নেতাজী কলোনি, বড়সাকো, গোদরাইল সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। জলাশয় ভরাটের কারণে নিকাশি নালা বন্ধ হওয়ায় বৃষ্টির জলে প্রায় ৬-৭ মাস জল বন্দি হয়েছিল এলাকার বাসিন্দারা। এমনকী কিছু এলাকায় এখনো আটকে রয়েছে দুর্গন্ধ পচা জল।এমনকী অবৈধভাবে বিল ভরাট ও দীর্ঘদিন এলাকা জলমগ্ন থাকার প্রতিবাদে মাসখানেক আগে মালঞ্চপল্লী এলাকায় জাতীয় সড়কে দীর্ঘক্ষন ধরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে স্থানীয় বাসিন্দারা।কিন্ত কোনমতে জলাশয় ভরাট করা যাবে না এই দাবীতে সরব হন স্থানীয়রা। পরে সদর মহকুমা শাসক সুরেশচন্দ্র রানোর হস্তক্ষেপে অবরোধ কর্মসুচি প্রত্যাহার করে নেন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু এরপরেও দেখা যাচ্ছে আবার নতুন করে শুরু হয়েছে তিন নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় জলাশয় ভরাট। এই ঘটনায় তৃণমূলের এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে এলাকার বাসিন্দারা। এদিনও জলাশয় ভরাট করার সময় এক ট্রাক্টরচালককে আটক করে স্থানীয় বাসিন্দারা। পাঠান শেখ নামে ওই ট্রাক্টর চালক ক্যামেরার সামনে জলাশয় ভরাটের কথা স্বীকার করে নেন।

পৌরসভাকে বারংবার এবিষয়ে অভিযোগ জানানো হলেও কোন সুরাহা হয়নি। সমস্যার সমাধান না হলে অবিলম্বে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারী দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা। এই ঘটনায় সদর মহকুমাশাসক সুরেশচন্দ্র রানো জানান, অবৈধভাবে জলাশয় ভরাটের ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। প্রশাসনিকভাবে এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই সমস্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের শহর সভাপতি তথা প্রাক্তন পৌরপ্রধান নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি মহাশয় জানান, জলাশয় ভরাট করলে নিকাশি নালা বন্ধ হয়ে শহরে জল আটকে এলাকার মানুষ সমস্যায় পড়বে। শহরে এই ধরনের ঘটনা মানে পৌর প্রশাসক ও এলাকার প্রতিনিধির ওপরেই দায় বর্তায়। বিষয়টি দলের কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

Next Post

ডালখোলায় এক অসুস্থ ব্যক্তিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব

Sat Dec 12 , 2020
নিজস্ব সংবাদদাতা , ডালখোলা , ১২ ডিসেম্বর : নুন আনতে পান্তা ফুরায়, তার উপর দুরারোগ্য ব্যাধি। চিকিৎসার খরচ বহন করতে নাজেহাল অবস্থা ডালখোলা পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বিনয় কলোনির দম্পতির। জানা যায়, দীর্ঘ তিন বছর ধরে অসুস্থ সমর বিশ্বাস। দীর্ঘদিন ধরে খাদ্যনালীর জটিল অসুখে আক্রান্ত তিনি। ডালখোলা থানায় ক্যান্টিন চালিয়ে […]

আপনার পছন্দের সংবাদ